চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎউজ্জ্বল: ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত
প্রশ্ন: গেল বছর চীনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ঘটনা ছিল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিংশতম জাতীয় কংগ্রেসের সফল আয়োজন। এ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং তার কার্যবিবরণীতে বলেছেন, চীনের নতুন বিকাশ বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের ‘ভিশন ২০৪১’ আর ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীন কেমন ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: চীন সর্বদাই বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত অংশীদার। দীর্ঘকাল ধরে দু’দেশ পরস্পরকে বিশ্বাস, সম্মান, সমর্থন ও সাহায্য করে আসছে। চীন আনন্দের সাথে বাংলাদেশকে ‘ভিশন ২০৪১’ আর ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যেতে দেখছে। চীন আগের মতো ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যাবে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় পক্ষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
আমরা চারটি ক্ষেত্রে একসাথে প্রচেষ্টা চালাতে পারবো:
এক, অভিন্ন উন্নয়ন সাধন করা। চীন ও বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। দু’দেশেরই উন্নয়নের অধিকার এবং সুখী জীবন উপভোগের অধিকার আছে। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নের কৌশল সংযুক্ত করতে, উন্নয়নের অভিজ্ঞতা আর উন্নত প্রযুক্তি শেয়ার করতে, বাংলাদেশের শিল্পায়ন, আধুনিকীকরণ এবং ডিজিটাল নির্মাণ দ্রুততর করতে, বাংলাদেশের জীবিকা উন্নয়নে সহায়তা করতে, এবং যৌথভাবে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে চায়।
দুই, অভিন্ন নিরাপত্তা ত্বরান্বিত করা। চীন দৃঢ়তার সাথে বাংলাদেশকে দেশের স্বাধীনতা ও জাতির সম্মান রক্ষার কাজে সমর্থন করে; নিজের রাষ্ট্রীয় অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উন্নয়নের পথ অন্বেষণকে সমর্থন করে; বাংলাদেশে বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে; এবং এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার কাজকে সমর্থন করে।
তিন, সাধারণ মূল্যবোধ প্রচার করা। শান্তি, উন্নয়ন, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র আর স্বাধীনতা হচ্ছে মানবজাতির অভিন্ন মূল্যবোধ, যাতে বিভিন্ন দেশের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়। চীন ও বাংলাদেশ সংহতি জোরদার করে যৌথভাবে এর প্রচার করবে।