চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎউজ্জ্বল: ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত
তৃতীয় শব্দ হচ্ছে সম্ভাবনা। চীন প্রথম শত বছরের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছে, এখন সার্বিক সমাজতান্ত্রিক শক্তিশালী আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার দ্বিতীয় শত বছরের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিঃসন্দেহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরও বেশি চালিকাশক্তির যোগান দেবে এবং ব্যাপক সহযোগিতার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
প্রশ্ন: চীনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় গত ৮ জানুয়ারি। চীন কেন এ সময় এমন বড় পরিবর্তন এনেছে এবং এ ব্যবস্থা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিময়ের জন্য কী কী নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে?
উত্তর: চীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনাকে ‘বি’ পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চীন সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাইরাসের মিউটেশন, মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি, আর চীনের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকাজের সাফল্য বিবেচনায় রেখেই এমন সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চীনের কাজের গুরুত্ব ‘সংক্রমণ প্রতিরোধ’ থেকে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আর মারাত্মক রোগ’ প্রতিরোধে স্থানান্তর হয়েছে। চীন বৈজ্ঞানিক বিচারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হচ্ছে চীনা জনগণ আর বিশ্বের কল্যাণে নেওয়া চীনা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যবস্থা। এতে আরও একবার জনগণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া ও জীবনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চীন সরকারের ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে।
৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর নিয়ম অনুসারে, চীনে প্রবেশের জন্য এখন থেকে কেবল ভিসা, বিমান টিকিট আর রওনার হওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে করা নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালেই হবে। এভাবে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের সময় ও ব্যয় অনেক সাশ্রয় হবে। অনুমান করা যায়, দু’দেশের সরকার, ব্যবসায়ী আর জনসাধারণের যাতায়াত এতে বাড়বে; বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর হবে। চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতায় জোরালো উন্নয়নের নতুন পর্যায়ের সূচনা হবে।