চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎউজ্জ্বল: ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত
গত বছরের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে গভীরভাবে মত বিনিময় করেছেন। আমার আগে দু’জন চীনা রাষ্ট্রদূতও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তারা একাধিকবার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনও করেছেন।
চীন অব্যাহতভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ওপর নজর রাখবে, বাংলাদেশের ভার কমানোর জন্য যথাসম্ভব সহায়তা করবে, এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সদিচ্ছাকে সম্মান করার ভিত্তিতে, অব্যাহতভাবে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করে যাবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের কার্যমেয়াদে আপনার প্রত্যাশা কী? চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের জন্য আপনার কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে?
উত্তর: বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৬তম চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার কর্তব্য হলো দু’দেশের নেতাদের স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যোগাযোগ করা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি চীন ও বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশার ইতিবাচক জবাব দেওয়া, নিরন্তরভাবে দু’দেশের সম্পর্কের নতুন বৃদ্ধির বিষয় খুঁজে বের করা, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সোনালী সাইনবোর্ড আরও উজ্জ্বল করে তোলা। আমি দু’দেশের নেতৃবৃন্দ আর বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গের সাথে কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করবো; পার্টি, সংসদ, থিঙ্ক ট্যাংক, গণমাধ্যমগুলোর সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবো; দেশ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবো; আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরো বড় ভূমিকা পালন করার উদ্দেশ্যে কাজ করবো। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায়, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি হবে। ধন্যবাদ।
সাংবাদিক: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী, চায়না মিডিয়া গ্রুপ