বাংলা

মহাপ্রাচীরের গাইড চাং সিয়াও ইয়েন

CMGPublished: 2024-11-25 15:30:10
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

মহাপ্রাচীরের গাইড চাং সিয়াও ইয়েন

চীনের মহাপ্রাচীর বিশ্ববিখ্যাত। এটি বিশ্বের বিস্ময়কর পুরাকীর্তিগুলোর অন্যতম। চীনের অনেক এলাকায় মহাপ্রাচীরের অংশ আছে। এর মধ্যে বেইজিইংয়ের চিয়াইয়ুকুয়ান মহাপ্রাচীর অনেক জনপ্রিয়। এখানে একজন সুবিখ্যাত গাইড টানা ২০ বছর ধরে পর্যটকদের পরিষেবা দিয়েছেন এবং তাঁর মাধ্যমে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা চিয়াইয়ুকুয়ান মহাপ্রাচীরের ইতিহাস ও নির্মাণের গল্প জানতে পেরেছেন। এই গাইডের নাম চাং সিয়াও ইয়ান।

বস্তুত, গাইড চাং সিয়াও ইয়ান এখন সাংস্কৃতিক গবেষক হিসেবে কাজ করে থাকেন। তিনি কেবল পর্যটকদের কাছে মহাপ্রাচীরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরেননি, বরং বিভিন্ন স্কুল, আবাসিক এলাকা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আরও বেশি লোকদের সামনে মহাপ্রাচীরসম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।

২০০১ সালের জুলাইয়ে, ১৮ বছর বয়সের মেয়ে চাং সিয়াও ইয়ান, হ্যনান প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চিয়াইয়ুকুয়ান মহাপ্রাচীরে আসেন। সেটি ছিল তাঁর প্রথম মহাপ্রাচীর দর্শন। তিনিও তখন অন্যান্য পর্যটকের সাথে গাইডের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তখন থেকেই তিনি ভাবতে থাকেন, একদিন গাইডের মতো এখানকার ইতিহাস ও মজার গল্প সবার সাথে শেয়ার করবেন। একই বছরের শেষ দিকে তিনি চিয়াইয়ুকুয়ান মহাপ্রাচীরের গাইড হিসেবে কাজ করতে নিবন্ধন করান এবং সফল হন।

যখন তাঁর কাজ শুরু হয়, তখন জানতে পারেন যে, মহাপ্রাচীরে ওঠানামা গাইডের শরীরের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। শীতকালে মহাপ্রাচীরে প্রচণ্ড বাতাস থাকে এবং গ্রীষ্মকালে সুর্যালোকে এ মহাপ্রাচীরে আরোহণ করা বেশ কষ্টের কাজ। তবে, তিনি বিভিন্ন কষ্ট সহ্য করে, পরিশ্রমের সাথে গাইডের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

নিজের কাজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে গাইড চাং বলেন, ‘আমি অন্তর্মুখী মানুষ। তাই, অপরিচিত লোকদের সাথে কথা বলা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।’ তবে, ভালো করে গাইডের কাজ করার জন্য, তিনি সংশ্লিষ্ট তথ্য ও কথা মুখস্ত করতে চেষ্টা করেন। বার বার চর্চার পর তিনি সুন্দরভাবে কাজটি করা শেখেন। তার ম্যান্ডারিন ভাষার চর্চা চলতে থাকে। ছুটির দিনে বিভিন্ন বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকেন। এমন চর্চার মাধ্যমে তাঁর গাইড করার ক্ষমতা দ্রুত উন্নত হয়।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn