চীনের হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক প্রকৌশলবিদ্যার জনক জনাব ইয়াং শি এয়ের গল্প
অধ্যাপক ইয়াং এবং তাঁর গবেষকদলের যৌথ প্রয়াসে, হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক পজিশনিং পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। এ তত্ত্বের মাধ্যমে, চীনের ‘ড্রাগন’ মানববাহী সাবমেরিন গবেষণা ও ডিজাইন করা হয়। চীনের হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক গবেষণার উন্নয়নের পরিকল্পনা, হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক গবেষণার দিক, এবং এর সাথে জড়িত বিজ্ঞান-গবেষণা ও প্রকৌশল স্থাপনে অধ্যাপক ইয়াং অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং তাঁর চিন্তাভাবনা সবসময় বাস্তবতার চেয়ে অগ্রসর ছিল।
২০১৬ সালে ৮৫ বছর বয়সের অধ্যাপক ইয়াং চীনের জাতীয় সমুদ্র ব্যুরোর বিশেষ পদক লাভ করেন। তবে, তাঁর গবেষণাকাজ কখনও থামেনি। পরীক্ষার সরঞ্জামের গবেষণা ও তৈরি, সমুদ্রের জলবিদ্যুত অবস্থা পরীক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মতো বিভিন্ন কাজে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।
যুব গবেষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় অধ্যাপক ইয়াং সবসময় বলেন, সমুদ্র দেশের নীল ভূভাগ, প্রত্যেকের উচিত তা ভালো করে রক্ষা করা। ৯০ বছর বয়সেও তিনি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস নিতেন। তিনি কালো বোর্ডে চমত্কার কথা লিখতেন, মনোযোগ দিয়ে মজার কথার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরতেন। ক্লাসশেষে শিক্ষার্থীরা তাঁর সাথে ছবি তুলতো এবং সমুদ্র-বিজ্ঞানের সাথে জড়িত প্রশ্ন করতো। তিনি ধৈর্যের সাথে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতেন। যখন স্নাতক শিক্ষার্থীদের থিসিস সংশোধন করতেন, তখন তিনি প্রত্যেকটি থিসিস মনোযোগ দিয়ে দেখতেন; প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরামর্শ লিখে দিতেন। তিনি কখনও সহপাঠী বা ছাত্রছাত্রীদের সাথে রাগ করতেন না। কিন্তু সবাই তাঁকে বেশ সম্মান করতো এবং সবার ওপর তার একটি প্রভাব ছিল।
২০১৮ সালে ৮৭ বছর বয়সের অধ্যাপক ইয়াং যুব-কর্মীদের মতো সমুদ্রের পরীক্ষায় অংশ নেন। যখন সমুদ্রের পর্যবেক্ষণ কাজে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতেন, যুব গবেষকরা তখন নিশ্চিন্ত থাকতেন এই ভেবে যে, ইয়াংয়ের পরামর্শে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।