শিশু-শিক্ষার্থীদের দাঁতের সমস্যা ও সমাধান
তবে, যদি মাথার হাঁড়ের কারণে ম্যালোক্লুশন দেখা দেয়, তাহলে এটি যত আগে সংশোধন করা যাবে তত ভালো। কারণ, এটি কেবল দাঁতের বিশৃঙ্খলার সমস্যা নয়, এটি মুখের চোয়ালের অবস্থান ঠিক রাখার সাথে সম্পর্কিত সমস্যা। এ সম্পর্কে ডাক্তার সিয়ে বলেন, মানুষের মুখ যেন মেশিনের মতো; এতে উপর ও নিচের চোয়াল, দাঁত ও জিহ্বা রয়েছে। ম্যালোক্লুশন সমন্বয়ের মূল উদ্দেশ্য এসব মেশিনের কাঠামো ঠিক অবস্থানে রাখা এবং তাদের সুষমভাবে নিজ নিজ ভুমিকা পালন নিশ্চিত করা। তিনি উদাহরণ দিয়ে ম্যালোক্লুশনের চিকিত্সার পদ্ধতি তুলে ধরেন। যেমন, মুখের চোয়ালের কারণে নিচের দাঁত উপরের দাঁতের সামনে অবস্থান করলে, বাচ্চার ছোটবেলায় চিকিত্সা ও সমন্বয়কাজ শুরু করা ভালো। কারণ, যখন মুখের চোয়াল বড় হয়, তখন সংশোধনমূলক কাজ কঠিন হয়ে যাবে।
এর সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার সিয়ে জানিয়েছেন যে, হাড়ের কারণে মুখের বিকৃতির সমস্যার চিকিত্সা দীর্ঘকাল ধরে করতে হয়। কখনও কখনও এ প্রক্রিয়া ৭/৮ বছর বয়স থেকে শুরু করলেও, ১২/১৩ বছর বয়সের পরও অব্যাহত রাখতে হতে পারে। এ চিকিত্সা ১৪/ ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে।
যদি বাচ্চার বিশৃঙ্খল দাঁতের কারণে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা খাদ্য চিবাতে সমস্যা হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সা গ্রহণ করা ভালো।
দাঁতের বিশৃঙ্খল অবস্থা সংশোধনে আত্মনিয়ন্ত্রণ বেশ জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে ডাক্তার সিয়ে বলেন, যখন দাঁতের বিশৃঙ্খল অবস্থা সংশোধনের কাজ শুরু হয়, তখন দীর্ঘকাল ধরে উপযুক্ত ধনুর্বন্ধনী পরতে হতে পারে। সেসময় প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করতে হয় এবং সময়মতো হাসপাতালে যেতে হয়। মিষ্টি ও শক্ত খাবার পরিহার করাও জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দাঁত সংশোধনের স্বল্পকালীন লক্ষ্যমাত্রা সম্পন্ন করার পর, দীর্ঘকাল ধরে ভালো অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। বাচ্চাদের জন্য চিকিত্সাগ্রহণের পর আরও দুই/এক বছর নিয়মিত হাসপাতালে যাওয়া ও চেকআপ করানো দরকার। তারপর, প্রায় দুই বছর ধরে দাঁত-ধারক পরতে হবে। ধীরে ধীরে তা পরার সময় কমিয়ে আনতে হবে। এভাবে দাঁতের বিশৃঙ্খল অবস্থা সংশোধন করা যায়।