শিশু-শিক্ষার্থীদের দাঁতের সমস্যা ও সমাধান
প্রশ্ন হচ্ছে: ম্যালোক্লুশন বাচ্চাদের দাঁতের ওপর কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে? প্রথমত, দাঁতের অক্লুসাল ফাংশনের দুর্বলতা দেখা দেয়। দাঁতের মূল ভুমিকা বিভিন্ন ধরনের খাবার অক্লুসাল করা বা চিবানো, যা মানুষের পাচনতন্ত্রের প্রথম কাজ। যদি দাঁতের কারণে ভালো করে খাবার অক্লুসাল করা না যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট পাচনতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং স্বাস্থ্যের জন্যও তা ক্ষতিকর। তা ছাড়া, দাঁতের দুর্বলতার কারণে স্পষ্টভাবে শব্দ উচ্চারণ করাও অনেক সময় সম্ভব না হতে পারে। আর, দাঁতের বিশৃঙ্খলার কারণে যখন ব্রাশ করা হয়, তখন পুরোপুরি তা পরিষ্কার করা যায় না। এতে দাঁতের ক্যারিজসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অবশ্যই বিশৃঙ্খল দাঁত চেহারার সৌন্দর্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিচের দাঁত বা উপরের দাঁত, বিশেষ করে সবচেয়ে মাঝখানের দাঁতের বিশৃঙ্খলা, বাচ্চাদের মুখের সৌন্দর্য কমায়। কেউ কেউ জেনেটিক কারণেও এ ধরনের সমস্যায় ভোগে। বাবা-মায়ের এ সমস্যা ছিল, এখন বাচ্চাদেরও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
প্রশ্ন হচ্ছে: বিশৃঙ্খল দাঁত ঠিক করতে কোন বয়সে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত? এ সম্পর্কে ডাক্তার সিয়ে বলেন, দাঁতের চিকিত্সার জন্য সঠিক সময় বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে, ৪, ৮, ১২ ও ১৮ বছর বয়সে পেশাদার ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। দাঁতের ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখবেন, কী ধরনের চিকিত্সা প্রয়োজন বা আদৌ চিকিত্সার প্রয়োজন আছে কি না।
ডাক্তার সিয়ে উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন ৭/৮ বছর বয়সের বাচ্চার যখন কয়েকটি স্থায়ী গজায়, তখন মাঝখানের দাঁতগুলো বিশৃঙ্খল হতে পারে, যা স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি খেতে সমস্যা না হয়, তাহলে চিকিত্সার দরকার নেই। কারণ, ছোট বয়সে মুখের আকার ছোট থাকে এবং নতুন করে গজানো স্থায়ী দাঁতগুলো দেখতে বড় লাগে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেগুলোকে আর দেখতে বড় লাগবে না। তাই, সবগুলো স্থায়ী দাঁত গজানোর পরও যদি দাঁতের অবস্থান এলোমেলো থাকে, তখন যথাযথ চিকিত্সা নেওয়া উচিত।