শিশু-শিক্ষার্থীদের দাঁতের সমস্যা ও সমাধান
বেইজিং শিশু হাসপাতালের স্টোমাটোলজির ডাক্তার ওয়াং মেং সিং বলেন, বর্তমানে অনেক পিতামাতা শুধু বাচ্চার দাঁতের বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখতে সুন্দর না—এমন কারণে বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসছেন। কিন্তু অনেক বাচ্চা চিকিত্সা নিতে চায় না। অথচ, এ ধরনের চিকিত্সায় বাচ্চাদের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে বলেন, দাঁত সংশোধনের আগে এ ব্যাপারটি নিয়ে বাচ্চার সাথে আলাপ করতে হবে পিতামাতাকে। বাচ্চাদের মুখের উন্নয়ন ও বিকাশ একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। যদি শুধু দাঁতের বিশৃঙ্খলা সমস্যা দেখা দেয়, তা কয়েক বছর পর সব স্থায়ী দাঁত গজিয়ে গেলে সমাধান হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে কিছু চর্চার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। যেমন, ভুট্টার মতো কিছু শক্ত খাবার চিবানো।
তা ছাড়া, বাচ্চাদের ভালো স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস করাও জরুরি। যেমন, কেউ কেউ শুধু এক পাশের দাঁত ব্যবহার করে খাবার খায়, ফলে মুখের দু’পাশের পেশীর ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। কোনো কোনো বাচ্চা আঙুল ও পেন্সিল মুখে দিতে পছন্দ করে বা ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। এমন অভ্যাসের কারণে মুখের কাঠামো পরিবর্তন হতে পারে এবং ম্যালোক্লুশনের সৃষ্টি হতে পারে। তাই বাবা-মাকে নিয়মিত বাচ্চার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ভুল অভ্যাস যত দ্রুত সম্ভব সংশোধন করতে হবে।
তা ছাড়া, ৬ বছর বয়সের আগে তথা দুধদাঁত গজানোর সময় বেশ নরম খাবার খেতে দেওয়া ভালো। তা না হলে, চোয়ালের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন সমস্যা থাকলে স্থায়ী দাঁত গজানোর পর দাঁতগুলো আঁকাবাকা হতে পারে। নরম খাবার খেলে দাঁত সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং ক্যারিজ হবার আশঙ্কা কম থাকে।
মোদ্দাকথা, দাঁত মানুষের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা দরকার। কিন্তু অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। ছোটবেলা থেকে দাঁত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য যাওয়া ভালো।