চীনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে, বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাকাজে অগ্রগতি হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তা পাচ্ছে এ খাতটি। মাটির গভীর থেকে আবিষ্কৃত সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের সঠিক বয়স এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে আরও স্পষ্টভাবে জানা যায়। বিভিন্ন প্রাচীন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করার পর সঠিক সংরক্ষণ ও মেরামত করাও জরুরি। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, একটি মাটিসমৃদ্ধ ময়লা শিল্পকর্ম যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিষ্কার করার পর, তার উপর খোদাই করা প্রাচীন অক্ষর ফুটে ওঠে।
তবে, যাদের চোখ রঙ চিনতে ভুল করে, এমন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্নতত্ত্ব উপযুক্ত বিষয় নয়। কারণ, ফিল্ড জরিপ করার সময়, মাটির নিচে ভিন্ন পর্যায় ও সময়ের মাটির রঙ দেখতে প্রায় একইরকম মনে হয়। সেই সামান্য পার্থক্য ধরতে পারাটা গবেষকের জন্য একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।
আপনাদের দৃষ্টিতে প্রত্নতত্ত্ব কেমন বিষয়? এর মাধ্যমে ইতিহাস আরও স্পষ্টভাবে জানা যায় কি? কেউ কেউ বলেন, প্রত্নতত্ত্ব মানবজাতির ইতিহাসের ধ্বংসাবশেষের পোর্টার। প্রত্নতত্ত্বের সাথে জড়িত ‘সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও জাদুঘরবিদ্যা’, ‘সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ প্রযুক্তি’ ‘প্রাচীন অক্ষর গবেষণা’সহ আরও অনেক বিষয় রয়েছে।
এ পর্যন্ত চীনের উত্তর-পশ্চিম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেছে। লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও জাদুঘরবিদ্যা বিভাগ চালু হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্বের সাথে জড়িত বিষয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগও কম নয়। এ সম্পর্কে চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমির প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারের উপপরিচালক পেং সিয়াও চুন বলেন, যাদের প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে আগ্রহ আছে, তাদের জন্য এ বিষয় বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, এ কাজে ভালো করতে চাইলে আজীবন করতে হবে। অধ্যাপক পেং চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পের গবেষকদের অন্যতম। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন অনেক অনেক ধাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এ মেজরের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের ক্ষুদ্র প্রমাণ থেকে বিস্তারিত তথ্য খুঁজতে পারেন। যেমন, সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ কেন এ জায়গায় আছে বা প্রাচীনকালের প্রবীণরা কেন এখানে এ জিনিস রেখেছেন? এমন বিষয় গবেষণা যেন অতীতে ফিরে যাওয়ার মতো। প্রাচীনকালের লোকদের সাথে এ সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে এক ধরনের সংযোগ সৃষ্টি হয়। এটি গবেষকদের কৌতুহল পূরণ করতে পারে।