চীনের ছিংতাও শহরে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে নতুন পদ্ধতি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অনেক এলাকার স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেবিল ও চেয়ারের আকার ও উচ্চতা সমন্বয় করা হয়েছে। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয়ের কাজটি যথাযথভাবে হয়নি। যেমন, প্রাথমিক স্কুলের ৬টি শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা একই ধরনের টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করে। শুধু প্রতি সেমিস্টারে একবার সমন্বয় করা হয় এবং আলাদাভাবে কোনো ছাত্রছাত্রীর জন্য বিশেষ সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেই।
টেবিল ও চেয়ারের উচ্চতা ছাড়া, টেবিলে ব্যাগ রাখার খোপও কিছু কিছু ছাত্রছাত্রীর জন্য বিরক্তিকর। যেমন, বেইজিং তুংছেং এলাকার একজন গবেষক ছেন চং লিং বলেন, টেবিলের ব্যাগ রাখার খোপ বেশ ছোট, ফলে ছাত্রছাত্রীরা ব্যাগ ভিতরে রাখতে পারে না, তাঁরা ব্যাগ চেয়ারের পিছনে রাখে, ফলে সোজা হয়ে বসতে পারে না। টেবিলের নিচের জায়গাও যথেষ্ঠ নয়। পা ঠিকমতো রাখা মুশকিল। দীর্ঘকাল ধরে এ ধরনের চেয়ার-টেবিল ব্যবহার শিক্ষার্থীদের শরীরের ক্ষতি করছে।
বেইজিং সিডিসি স্কুলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান কুও সিন বলেন, স্কুলের টেবিল ও চেয়ারের সাইজ বাচ্চাদের উচ্চতার সাথে মানানসই কি না, তার কিছু মানদণ্ড আছে। সে অনুসারে টেবিল-চেয়ার সমন্বয় করা উচিত।
২০১৪ সালে চীনে ‘স্কুলের চেয়ার ও টেবিলের ভুমিকা ও আকারের মানদন্ড’ চালু হয়। এতে মোট ১১ ধরনের চেয়ার ও টেবিল এবং উপযোগী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চতার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে চীনের কিছু কিছু এলাকার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের নমুনা জরিপ থেকে জানা গেছে, প্রায় ২০ শতাংশ স্কুলে চেয়ার ও টেবিলের আকার ঠিক নয়।
এ সম্পর্কে ডাক্তারা বলেন, টেবিল বা চেয়ার বেশি উঁচু বা বেশি নিচু হলে তা ছাত্রছাত্রীদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে মায়োপিয়া, স্কোলিওসিস ও কুঁজোসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২১ সালে প্রকাশিত দেশের ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও শরীর জরিপ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের তুলনায় ৭ বছর থেকে ২২ বছরের মধ্যে ছেলেমেয়েদের উচ্চতা ০.৫২ সেন্টিমিটার থেকে ১.৬৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে।