চীনের ছিংতাও শহরে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে নতুন পদ্ধতি
তা ছাড়া, প্রতিবছর ছিংতাও শহরের পৌর সরকার প্রায় ১ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু করে। এমন পরীক্ষামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। তাঁরা উন্নত প্রযুক্তি শিখে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
ছিংতাও শহরে কারিগরি শিক্ষা উদ্যানের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়েছে। যেমন, শহরাঞ্চলে পরিবহন ও যাতায়াত, বুদ্ধিমত্তা প্রক্রিয়াকরণ, বিদ্যুত্ ও তথ্য খাতের উদ্যান নির্মিত হয়েছে। এর আশেপাশে নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি উদ্যানও আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
বাচ্চাদের উচ্চতা বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে চেয়ার বা টেবিলের সাইজ ঠিক করা
বর্তমানে চীনা বাচ্চাদের উচ্চতা দিন দিন বাড়ছে। অনেক স্কুলে দেখা যায়, টেবিল ও চেয়ারের সাইজ প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। কোনো কোনো বাচ্চা সেই টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করে আরাম পায় না। আর, সঠিকভাবে বসতে না-পারলে বা বসার ভঙ্গি ঠিক না-থাকলে, বাচ্চাদের মেরুদণ্ড ও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চীনের বিভিন্ন এলাকার বাবা-মায়েরা এ ব্যাপারে প্রকাশ করেছেন তাদের উদ্বেগ।
চীনের শানসি প্রদেশের এটি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রের বাবা সংবাদদাতাকে বলেন, তিনি একদিন স্কুলে অভিভাবকদের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উচ্চতা প্রায় ১.৮ মিটার। ছেলের জন্য নির্ধারিত চেয়ারে বসে তিনি আরামবোধ করেননি, বরং কষ্ট পেয়েছেন। শ্রেণীকক্ষও ছিল যথেষ্ট ছোট। এ সম্পর্কে এ বাবা বলেন, “আমার উচ্চতা বেশি নয়। এখন স্কুলের অনেক ছেলে আমার চেয়ে বেশি লম্বা। যদি তাঁরা সারাদিন এ ছোট চেয়ার ও টেবিলে বসে ক্লাস করে, তাহলে সেটা তাদের জন্য কষ্টকর হবে নিঃসন্দেহে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা তাদের এভাবে বসে থাকতে হয়।”
বস্তুত, এখন চীনের অনেক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে চেয়ার ও টেবিলের সাইজ ছাত্রছাত্রীদের উচ্চতার সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না। কুয়াংতং প্রদেশের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক লিয়াং বলেন, স্কুলের উচ্চবিদ্যালয়ে ৩টি শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের টেবিল ও চেয়ার একই সাইজের; টেবিলের উচ্চতা প্রায় ০.৮ মিটার, যা উঁচু করার ব্যবস্থা নেই। অথচ স্কুলের উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের একটি ছাত্রের উচ্চতা ১.৯ মিটার। তার জন্য এ টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করা কষ্টকর। বিশেষ করে, উচ্চবিদ্যালয়ের পড়াশোনার চাপ বেশি। সাধারণত, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে থাকতে হয়। এমন অবস্থায় তাদের মেরুদণ্ড ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।