বাংলা

শিশুদের লেখাপড়ায় মনোযোগের অভাবসংশ্লিষ্ট সমস্যা যেভাবে মোকাবিলা করতে হবে

CMGPublished: 2024-06-24 16:59:44
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সিয়াওখাইয়ের মনোযোগের অভাব সমস্যার সমাধানে স্কুলের কাছে বাড়ি স্থানান্তর করেন তার মা, যাতে ছেলের বিশ্রাম ও ঘুমের সময় নিশ্চিত করা যায় এবং প্রতিদিন সকালে তাকে নিয়ে শরীরচর্চা করা সম্ভব হয়। স্কুলের শিক্ষকরাও সিয়াওখাইর অবস্থার ওপর নজর রাখবেন এবং যখনই দেখবেন ছেলের মনোযোগের অভাব, তখন মাকে জানাবেন, পরামর্শ দেবেন। তবে, পঞ্চম শ্রেণীতে সিয়াওখাইয়ের মনোযোগের অভাব সমস্যা আরও গুরুতর আকার ধারণ করে। ৪০ মিনিটির এক পরীক্ষায় তার ২০টি গণিতের হিসাবের সবকয়টি ভুল হয়। এটা দেখে বাবা-মা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হন।

একদিন ডাক্তার ছুইয়ের ক্লিনিকে আরও অনেক বাচ্চা দেখা যায়। যদিও তাদের অসুস্থতার ধরন ভিন্ন, তবে সবার পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব অভিন্ন। কিছু কিছু বাচ্চা পড়াশোনার কথা শুনলেই কান্নাকাটি শুরু করে। আবার কোনো কোনো বাচ্চা, এডিএইচডি-তে আক্রান্ত হওয়ার কারণে, ক্লাসরুমে শিক্ষকের কথা শোনে না, দৌড়াদৌড়ি বা চিত্কার করে। কেউ কেউ পড়াশোনার চাপ বেশি হলে, নিয়মিত শরীর দোলায়; পিতামাতা শাসন করলে, পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ আরও দ্রুত হ্রাস পায়। কেউ কেউ স্কুলে যেতেও চায় না। শুধু বাসায় একা একা থাকতে চায়। যদিও তাদের আইকিউ কম নয়, তাঁরা স্কুলে সহপাঠীদের সাথে সহাবস্থান করতেও পারে না।

সংবাদদাতারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছেন যে, পড়াশোনার প্রতি মনোযোগের অভাবের চিকিত্সা জন্য হাসপাতালের নিবন্ধন পেতে দেরি হচ্ছে মূলত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনায় মনোযোগের অভাবকেও মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত বলে ধরা হচ্ছে। এ সম্পর্কে ডাক্তার ছুই বলেন, পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাচ্চা পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব সমস্যায় ভুগছে। এখন আরও বেশি পিতামাতা এ ব্যাপারে সচেতন। তবে, এমন সমস্যা মানসিক অসুখ, যা কম সময়ের চিকিত্সায় আরোগ্য করা সম্ভব নয়। তাই হাসপাতালগুলোতে এপয়েনমেন্ট পাওয়া দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn