শিশুদের লেখাপড়ায় মনোযোগের অভাবসংশ্লিষ্ট সমস্যা যেভাবে মোকাবিলা করতে হবে
আজকাল চীনে একটি সমস্যা অনেক শিশুর মধ্যে দেখা যায়। তাঁরা বিদ্যালয়ের ক্লাসে মনোযোগী নয়; হাতের লেখায় বা গণিতের হিসাবে তাঁরা প্রায়সময়ই ভুল করে; বই পড়ার সময়ও তাদের মনোযোগ থাকে অন্যদিকে। অনেক পিতামাতা মনে করেন, এমন সমস্যা স্বাভাবিক; বড় হলেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে, চীনের শিশু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা একে ‘শেখার ক্ষেত্রে অদক্ষতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাই, এ সমস্যা মোকাবিলায় অনেক শিশু-হাসপাতালে বিশেষ ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের এপয়নমেন্ট পাওয়া এখন খুবই কঠিন কাজ। এর মানে, সমাজে এমন সমস্যাযুক্ত শিশুর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে: শিশুদের এ সমস্যা সমাধানের উপায় কী? বা এই সমস্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায়? আজাকের অনুষ্ঠানে আমরা সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের বরাতে এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আগেই বলেছি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব চীনা বাচ্চাদের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে, মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার গেমস বাজারে আসার পর, এমন সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। ছেলে সিয়াওখাই-এর কথাই ধরা যাক। সে এখন প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। তার শেখার অদক্ষতা সমস্যা আছে। একাধিক হাসপাতালে চিকিত্সা গ্রহণ করার পরও তেমন কোনো ফল হয়নি। অবশেষে তার মা বেইজিং শিশু হাসপাতালের একজন সিনিয়র ডাক্তার ছুই ইয়ং হুয়ার সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেন। তিনি আশা করেন, পেশাদার ডাক্তারের সাহায্যে তাঁর ছেলে তাড়াতাড়ি মনোযোগের অভাব সমস্যা কাটিয়ে উঠবে এবং ভালো করে পড়াশোনা করবে।
ছেলে সিয়াও খাইয়ের মা বলেন, কিন্ডারগার্টেন পর্যায় থেকেই ছেলের মধ্যে মনোযোগের অভাব লক্ষ্য করেন তিনি। তখন ইংরেজিং অক্ষর ‘বি’ আর ‘ডি’র পার্থক্য সে বুঝতে পারত না, সবসময় ভুল করতো; গণিতের হিসাবেও সে ছিল অনেক কাচা। প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির পর শিক্ষক পরামর্শ দিলেন সিয়াওখাই-কে হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে। ২০২০ সালে একটি হাসপাতালে ধারাবাহিক পরীক্ষার পর সিয়াওখাই এডিএইচডি রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়। তারপর সে সংবেদনশীল সিস্টেম ও মনোযোগ দক্ষতার চিকিত্সা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। কিন্তু তার অবস্থার খুব একটা উন্নতি ঘটেনি।