বাংলা

হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অনুন্নত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষকতার গল্প

CMGPublished: 2024-05-20 15:30:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের হুনান প্রদেশ ও চিয়াংসি প্রদেশের সংলগ্ন এলাকার সিয়াছুন উপজেলার আশেপাশে সবই পাহাড়াঞ্চল। সিয়াছুন উপজেলা স্কুলে যুব-শিক্ষক সিয়াও ইয়ু সকালে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেন। এটি কেবল শিক্ষক সিয়াও’র কর্মস্থল নয়, এটি তাঁর জন্মস্থানও বটে। কারণ, তাঁর দাদা পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে ১৯৬৯ সালে এ স্কুল নির্মাণ করেন। তাঁর বাবাও শ্রেষ্ঠ চাকরি ছেড়ে দিয়ে দাদার মতো স্কুলের শিক্ষকতার কাজ করেন। সিয়াও ইয়ুর পড়াশোনার স্কোর বেশ ভালো ছিল। তবে, মাধ্যমিক স্কুল থেকে স্নাতক হবার পর তিনি হুনান প্রথম নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্মোল বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। স্নাতক হওয়ার পর এ স্কুলে ফিরে আসেন। দাদা ও বাবা তাঁর মনে বীরের মতো। তিনি শহরে পড়াশোনা করেছেন এবং আবার গ্রামীণ স্কুলে ফিরে এসেছেন। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে শহরাঞ্চলের ব্যবস্থার ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে। তবে, স্কুলের বাচ্চাদের জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ শহরের বাচ্চাদের মতোই।

গ্রামীণ স্কুলের বাচ্চারা সাধারণত অন্তর্মুখী। তাঁরা কথা বলতে ভয় পায় এবং ক্লাসে প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না। এমন বাচ্চাদের উত্সাহে তিনি অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। যেমন, স্কুলে বিশেষ মনোবিজ্ঞান কোর্স চালু করেছেন, বাচ্চাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনতে সহায়তা দেন, এবং বাচ্চাদের নোটবুকে উত্সাহব্যঞ্জক ও প্রশংসাসূচক কথা লেখেন।

তাঁর সহায়তায় বাচ্চাদের পরিবর্তন ঘটেছে। এটি শিক্ষক সিয়াও’র জন্য আনন্দের ব্যাপার। তিনি বলেন, প্রত্যেক বাচ্চা প্রশংসা ও মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য। তাই সঠিক পরামর্শ ও নির্দেশনায় তাদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করা সম্ভব।

স্কুলের অতীত অবস্থান কথা স্মরণ করে সিয়াও বলেন, “আমার দাদার সময় স্কুলে মাত্র কয়েক ডজন শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমানে স্কুলের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪০০ জনেরও বেশি। আধুনিক শিক্ষার সরঞ্জাম ও ক্লাসরুম আছে। এমন পরিবর্তন আরও বেশি যুব-শিক্ষককে আকর্ষণ করতে পারে এবং পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চারা বাড়ির কাছের স্কুলেও ভালো শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।”

首页上一页...2345 5

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn