হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অনুন্নত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষকতার গল্প
নর্মোল কলেজে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে শিক্ষক পু বলেন, “যখন আমি ক্যাম্পাসে হাঁটাহাটি করি, তখন আমার স্মৃতিতে শতাধিক বছরের আগের মাও সে তুং আর ছাই হ্য সেনের পড়াশোনার অভিজ্ঞতা ফুটে ওঠে। এখানে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা যেন আশা পূরণের প্রক্রিয়া।”
হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের শিক্ষক এবং জনাব মাও সে তুংয়ের শিক্ষক ইয়াং ছাং চি বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিত আদর্শ ও নৈতিকতা চর্চার ওপর গুরুত্ব দেওয়া; সমাজের উন্নয়নে সহায়ক কাজ যত বেশি করা যায়, তত ভালো। এ সম্পর্কে শিক্ষক পু বলেন, ছোটবেলায় তিনি গ্রামাঞ্চলের একজন পশুপালকের বাচ্চা ছিলেন। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়ন তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। দেশের উন্নয়নে নিজের অবদান রাখতে আগ্রহী তিনি।
২০১৮ সালের শরতের সেমিস্টারের আগে, শিপাতুং গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অন্য স্কুলে নিয়োগ করা হয়। নতুন সেমিস্টার ঘনিয়ে আসে, অথচ নতুন শিক্ষক তখনও ঠিক করা হয়নি। এ খবর পেয়ে শিক্ষক পু স্কুলে শিক্ষকতার আবেদন করেন। তবে, তখন তিনি অন্য একটি স্কুলের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। তাঁর বাচ্চার বয়সও মাত্র ১ বছর। পরিবার ও স্কুলের তাঁকে প্রয়োজন। এ সম্পর্কে শিক্ষক পু বলেন, “যদি আমি না যাই, তাহলে শিপাতুং গ্রামীণ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে পড়াশোনা করবে? এখন তাঁদের একজন শিক্ষক দরকার। তাই, আমাকে যেতে হবে।”
পাহাড়াঞ্চলের এ ছোট গ্রামে পৌঁছে শিক্ষক পু দেখেন, পুরনো ও জরাজীর্ণ স্কুলের ক্লাসরুম ও খেলার মাঠ। পরিস্থিতি তাঁর কল্পনার চেয়েও খারাপ। তবে, কষ্টকর পরিবেশ দেখে তিনি ভয় পাননি, হতাশ হননি। তিনি মনোযোগ দিয়ে ভালো করে স্কুলের শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন সেমিস্টার শুরুর পর, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শিপাতুং প্রাথমিক স্কুলে বসবাস করা শুরু করেন। পুরনো স্কুলের ক্লাসরুম, টয়লেট, খেলার মাঠ সংস্কার করেন। ধীরে ধীরে স্কুলের লাইব্রেরি, ক্লাসরুম নতুন আকৃতি ধারণ করে। ২০২২ সালে শিক্ষক পু শ্রেষ্ঠ গ্রামীণ শিক্ষকের পুরস্কার লাভ করেন। যদিও তাঁর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তিনি স্ত্রীর সাথে ৮০ হাজার ইউয়ানের বৃত্তি স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে, স্কুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়।