হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অনুন্নত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষকতার গল্প
তখন থেকে তিনি নতুন পদ্ধতিতে বাচ্চাদের পড়ানোর চেষ্টা করেন। যেমন, চীনা ভাষা পড়ানোর সময় ক্লাসের বাচ্চাদের কবিতা রচনার দক্ষতা খোঁজেন তিনি। কবিতার মাধ্যমে মনের আবেগ ও ভালোবাসা প্রকাশে উত্সাহ দেন তিনি। ধীরে ধীরে অনেক বাচ্চা কবিতা লেখার মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে শুরু করে। কবিতা তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়।
শিক্ষক লি’র সহায়তায়, বিভিন্ন ঋতুতে ছাত্রছাত্রীরা গ্রামাঞ্চলের কৃষিকাজ ও জীবনযাপন পর্যবেক্ষণ করে, সংশ্লিষ্ট কবিতা লেখে। ৬ বছরের মধ্যে শিক্ষক লি’র নেতৃত্বে প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন, মনের দুঃখ ও সুখ নিয়ে বাচ্চারা সহস্রাধিক কবিতা লিখেছে।
বাচ্চাদের কবিতার উদাহরণ দিতে গিয়ে লি বলেন, “‘বসন্তকালের কোল বেশ উষ্ণ, রঙ্গিন ফুল আমার মুখে চুমু খায়’, ‘বসন্তকালে আশেপাশে হৃদস্পন্দনের শব্দ শোনা যায়’, ‘আমি মনের গোপন বাতাসকে বলি, বাতাস সারা বিশ্বে প্রবাহিত হয়’—কবিতার এমন লাইন দেখে আমি মুগ্ধ হই।”
নর্মোল বিভাগে পড়াশোনা করার সময় লি’র শিক্ষক বলেছিলেন, গ্রামীণ বাচ্চারা শিক্ষকদের ওপর বেশ নির্ভর করে। কারণ, শিক্ষকদের মাধ্যমে তারা বিশ্বকে জানার সুযোগ খোঁজে। শিক্ষক লি’র দৃষ্টিতে, শিক্ষকতার কাজ কেবল বাচ্চাদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা দেওয়া নয়, বরং তাদের বড় হওয়ার পথে একজন সহকারী, তাদের স্বপ্নের রক্ষক, আর চিন্তাভাবনার নির্দেশক হওয়া। বাচ্চারা যেন সাদা কাগজের মতো। তাদেরকে যা শেখানো হবে, তাঁরা তাই শিখবে। এখন শিক্ষক এ ব্যাপারে কতোটা দক্ষতা ও কার্যকারিতার পরিচয় দিতে পারেন, সেটা বিবেচ্য বিষয়। শিক্ষক লি মনে করেন, শিক্ষাদান ভালোবাসার সাথে জড়িত একটি কার্যক্রম। তিনি এ কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বর্তমানে স্কুলে কবিতা লেখা বাচ্চার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ‘গ্রামীণ কবিতা ক্লাস’ স্থাপন করেন লি। এ কাজের মাধ্যমে বাচ্চাদের জীবন আরও সুন্দর হবে বলে আশা করেন তিনি।