হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অনুন্নত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষকতার গল্প
শতাধিক বছর আগে হুনান প্রথম নর্মোল কলেজ নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়োগের আগে একটি স্লোগান পেশ করতো, আর তা হল: ‘দেশের উন্নয়ন দক্ষ ব্যক্তিদের ওপর নির্ভর করে, দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের গুণগত মান শিক্ষার ওপর নির্ভর করে, এবং শিক্ষার্থীদের মান ভালো কি না তা নির্ভর করে প্রশিক্ষণের ওপর।” এ থেকে বোঝা যায়, শিক্ষাদান, শিক্ষার্থী ও দেশের উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হুনান প্রথম নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয় এ স্লোগান অনুসরণ করে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। হুনান প্রদেশের হুয়াইহুয়া শহরের হুইথং জেলার সুইয়ু প্রাথমিক স্কুলের গ্রামীণ শিক্ষক লি পো লিন হুনান প্রথম নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অন্যতম। ২০১৭ সালে তিনি স্নাতক হওয়ার পর ছাংশা শহরে চাকরির সুযোগ ছেড়ে দিয়ে, জন্মস্থান হুইথং জেলায় ফিরে আসেন। শুরুর দিকে গ্রামীণ শিক্ষকের কাজ তাঁর জন্য অপরিচিত ছিল। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যখন আমি প্রথম শিক্ষক হই, তখন প্রতিদিন বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য পরিকল্পনা ঠিক করতেই বেশি সময় ব্যয় করতাম। বাচ্চাদের ম্যান্ডারিন ভাষা চর্চা, শারীরিক ভঙ্গি ঠিক করা, দক্ষ শিক্ষকদের পড়াশোনার পদ্ধতি বিনিময় করাসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত হতো পরিকল্পনায়। তবে, একটি সেমিস্টার পর, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় তেমন কোনো উন্নতি দেখতে পেলাম না। সেমিস্টারের শেষ দিকে বাচ্চাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে চিঠি লেখার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারেন যে, বাবা-মায়ের সাথে না-থাকা গ্রামীণ বাচ্চাদের মনের দুঃখ, কষ্ট ও দুর্বলতা কতো বেশি!
তখন তিনি নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কথা মনে করেন। পাঠ্যপুস্তুকের পড়াশোনার তুলনায় ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনের কষ্ট মোকাবিলার দক্ষতার ওপর বেশি মনোযোগ দিতেন। কিভাবে শ্রেষ্ঠ নৈতিকতা ও কর্মদক্ষতা অর্জন করা যায়, সেটি ছিল তাঁর দৃষ্টিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ। তখন শিক্ষক লি খেয়াল করেন যে, প্রত্যেক বাচ্চার আবেগ ও চেতনা বোঝার পর তাদের চাহিদা ও চরিত্র বিবেচনা করে শিক্ষাদান করা আরো জরুরি।