চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশিষ্ট্যময় ভ্রমণ প্রসঙ্গ
একজন প্রকৌশলী নিয়মিত এখানে আসা-যাওয়া করেন। তাঁর দৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের পরিবেশ বেশ শান্ত এবং কফি দোকানের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি মনোযোগ দিয়ে এখানে কাজ করতে পারেন, পড়াশোনা করতে পারেন। গ্রন্থাগারের বিভিন্ন টেবিলের কাছে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। পাঠকরা এখানে নিজেদের ল্যাপটপও ব্যবহার করতে পারেন।
একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিংয়ের আরো কয়েকটি গ্রন্থাগার। পাঠকরা শুধু গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ে না, বরং প্রয়োজন হলে বই বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারে। তবে, সময় মতো তা ফেরত দিতে হয়। আইডি কার্ড দিয়ে বই লেনদেনের কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠগুলো আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য শরীরচর্চার গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মহামারীর সময় ক্যাম্পাসগুলো প্রায় বন্ধ ছিল। তখন ক্যাম্পাসের খেলার মাঠও বাইরের লোকদের জন্য খোলা ছিল না। তবে, গত বছর থেকে বেইজিংয়ের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের খেলার মাঠ ক্লাসের পর সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকছে। যেমন, প্রতি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা এবং প্রতি শনি ও রোববারের সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টায় পর্যন্ত তা সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে।
যদি কোনো বিশেষ খেলাধুলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ঘন্টা অনুসারে ভাড়াও করা যায়। পিংপং, বাস্কেটবল বা সাঁতার কাটা—ইত্যাদি বিভিন্ন খেলাধুলার ঘন্টার খরচ আলাদা। সাধারণত প্রতি ঘন্টায় প্রত্যেককে ২০ থেকে ৪০ ইউয়ানের মতো দিতে হয়।
চলতি বছর থেকে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দৈনিক ২০০০ জন দর্শককে পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি শনিবার ও রোববার ১২ হাজার জনকে সুযোগ দেওয়া হয়। কেবল ক্যাম্পাস পরিদর্শন নয়, প্রদর্শনী হলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দর্শকদের জন্য খোলা হয়েছে। যেমন, লাইভ শো, পিয়ানো কনসার্ট বা ফরাসি চারুকলার কনসার্টসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের লোকদের জন্য উন্মুক্ত, তবে টিকিট কাটতে হবে। যদি দর্শকরা প্রদর্শনী বা অনুষ্ঠানের টিকিট কাটেন, তাহলে ক্যাম্পাসে আসার সময় আবার বুকিংয়ের দরকার পরবে না। প্রদর্শনী উপভোগের পাশাপাশি ক্যাম্পাসও পরিদর্শন করতে পারবেন আপনি।