চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশিষ্ট্যময় ভ্রমণ প্রসঙ্গ
বস্তুত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরগুলো চীনের জাদুঘরব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত হবার পাশাপাশি, বৈশিষ্ট্যময় অন্যান্য জাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগও পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এটিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জ্ঞান অর্জনের ভালো প্ল্যাটফর্ম।
বেইজিং বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিদেশি ভাষা জাদুঘর’ গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরের বাইরে দেওয়ালে বিভিন্ন ভাষার শব্দ দেখা যায়। চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ জাদুঘর নিয়েও বেশ আলোচনা চলে। জাদুঘরে বিভিন্ন ভাষার উত্স, লেখা, উচ্চারণ, শিক্ষা, সম্প্রচারসহ আলাদা প্রদর্শনী এলাকা রয়েছে। এ জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ভাষার রূপান্তর ও উন্নয়নের ইতিহাস জানা সম্ভব।
বিশ্বে মোট ৭০০০ ধরনেরও বেশি ভাষা রয়েছে, এর মধ্যে লিখিত ভাষার ধরন প্রায় ৪০০০টি। একটি ছেলে এ তথ্য জেনে অনেক অবাক হয়। গত বছর থেকে বেইজিং বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর দশর্কদের জন্য খোলা হয়। শুধু আইডি কার্ড দিয়ে অনলাইনে পরিদর্শনের জন্য আবেদন করা যায়। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে রোববার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী জাদুঘরের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যদি দর্শকের দলের সদস্যসংখ্যা ১০ জনের বেশি হয়, তখন আসার আগে বিশেষ গাইড পরিষেবার জন্য আবেদন করা যায়।
জাদুঘর ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোও নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ। তবে, এখন চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলো শুধু ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য খোলা থাকে। এগুলো পাবলিক গ্রন্থাগারের মতো প্রত্যেকের জন্য খোলা থাকে না। তবে, এখন কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগার বাইরের মানুষের জন্যও উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছে। যেমন, বেইজিং বৈদ্যুতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কারিগরি একাডেমির গ্রন্থাগার এখন সাময়িকভাবে বাইরের দর্শকদের জন্য খোলা থাকে। শুধু আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারেন তাঁরা। এখানকার গ্রন্থাগার বিশাল, মোট ৫ তলা নিয়ে গঠিত এ ভবনে আরামদায়ক সোফা ও বিশাল টেবিল আছে। পড়াশোনার বেশ আরামদায়ক পরিবেশ। রাত ৯টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা থাকে। তাই, পাঠকরা যথেষ্ঠ সময় নিয়ে এখানে থাকতে পারেন।