চীনাদের জন্য ১৮ বছর বয়সের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য
চীনের পিপলস বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন সেরা বিষয়ের মেজর বা বিভাগে ব্যাপক ভালো মানের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তাদের পরীক্ষার ফলাফল বেশ ভালো, ১৮ বছর বয়সের আগে শুধু পরীক্ষা ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তাদের দক্ষতা পর্যালোচনা করা হয়, তাই লেখাপড়া তাদের জন্য সরাসরি ও কার্যকর পদ্ধতি। তবে ১৮ বছর বয়সের পর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, তখন বহুমুখী দক্ষতার চর্চা ও প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। যারা চমত্কার স্কোর পায়, তারা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নিজের পড়াশোনার বিষয়ে কোনো আনন্দ পায় না, তখন তাদের পড়াশোনায় সঠিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করাও সহজ ব্যাপার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পর সামাজিক মূল্যবোধ ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং কর্মদক্ষতা উন্নয়ন পরীক্ষার ফলাফলের সাথে জড়িত নয়। স্বেচ্ছাসেবক লিউয়ের দৃষ্টিতে একজন সেরা কর্মীর কর্মদক্ষতা বিবেচনায় কেবল তাদের কাজের মান ও অন্যদের সঙ্গে আদান-প্রদান কার্যকর নয়, বরং যখন সমস্যা হয় তখন তা মোকাবিলা করা আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা কর্মীদের আরো প্রয়োজন।
কর্ম পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টিতে উচ্চবিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রিয় কাজ বা পেশা নিয়ে কিছু ধারণা নির্ধারণ করা ভালো, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট মেজর বেছে নিয়ে পড়াশোনা করা ভালো। ছি ইয়ে চীনের একটি শ্রেষ্ঠ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবন পরিকল্পনাকারী, তিনি যুগের উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষার্থী এবং তাদের বাবা-মা বা দাদা-দাদীরা পেশার চেতনায় নানা পার্থক্য খেয়াল করেন। চলমান কর্মপরিবেশের সম্মুখীনে ভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের ধারণাও ভিন্ন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, ২০১৯ সালে যখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী স্নাতক পাস করে। তখন বিশ্বের ৫০০টি শক্তিশালী রাঙ্কিং কোম্পানিতে ভর্তি হলে বছরের বেতন প্রায় ৩ লাখ ইউয়ান হয়। তবে ২০২১ সালে টিকটক কোম্পানির কর্মীদের বার্ষিক বেতন ৫ লাখ ইউয়ানেরও বেশি হয়। যা শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ উত্সাহব্যাঞ্জক খবর। তবে, শিক্ষক ইয়ে জানেন এটি দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণে বড় কোম্পানির সাময়িক বেতন ব্যবস্থা, বহু বছর ধরে এমন উচ্চ মানের বেতন থাকা সম্ভব নয়।