চীনাদের জন্য ১৮ বছর বয়সের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য
বস্তুত ১৮ বছর বয়স জীবনযাপনের পরিবর্তন প্রত্যেকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ সময় শারীরিক দিকে প্রাপ্তবয়স্ক বলা যায়, তবে মানসিক দিকে অনেকে অপরিপক্ব, মনোবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে ৩০ বছর বয়সের সময় একজনের মানসিক অবস্থা পরিপক্ব বলা যায়। সেই সময় কিশোরকালের চেয়ে মানুষ আরো যৌক্তিকভাবে বিভিন্ন কাজ নিয়ে চিন্তা করে এবং আবেগপূর্ণ কথা বলার অবস্থাও ব্যাপক কমে যায়। সামাজিক মনোবিজ্ঞানের খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে ১৮ বছর বয়সে। ১৮ বছর বয়সের আগে যে কোনো কাজ পিতামাতার সাথে আলাপ করতে হয়, সামাজিক সম্পর্কের দিকে কেবল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্ক গঠন করে থাকে, তবে ১৮ বছর বয়সের পর সমাজের বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কে শিক্ষক চিন বলেন, যখন ছাত্রছাত্রী স্কুলে বসবাস করে, পিতামাতা তার মাসিক খরচ বহন করেন এবং শিক্ষকরা তাদের পড়াশোনা ও জীবনযাপনে সহায়তা দেন, তখন ছাত্রছাত্রীরা ধীরে ধীরে বড়দের মত জীবনযাপন কাটাতে শুরু হয়। এ সময় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী পিতামাতার প্রতি নির্ভরশীলতা ব্যাপক কমে যায় এবং নিজেই দক্ষতায় কিছু দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে এবং অন্যদের সাথে সম্পর্কে মোকাবিলা করে, এটি স্নাতক হওয়ার পর তারা সমাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি।
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিতে ১৮ বছর বয়স একটি বিশেষ মুহূর্ত, কারণ ১৮ বছর বয়সে অনেকে উচ্চবিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তিতে কাওখাও পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাই এ বছরে ৯০ শতাংশেরও বেশি সময় কাওখাও পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করেছে, এ ছাড়া অন্য কাজ করার সময় খুবই কম। ছাত্রী লি মেং এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন তার জন্য পড়াশোনার চাপ উচ্চবিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক কম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমিতিতে যোগ দিতে চেষ্টা করে, নিজের প্রিয় কাজ করার পাশাপাশি পড়াশোনা করে ছাত্রী লি মেংয়ের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, সেটি বেশ ভালো লাগে।