চীনাদের জন্য ১৮ বছর বয়সের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য
চীনের আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের পর, চীনা নাগরিক স্বাধীন ও প্রাপ্তবয়স্ক হয়। সাধারণত এ সময় যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হয় এবং যারা চাকরি নিতে চায়, তাদের নতুন কর্মজীবনও শুরু হয়। তাই ১৮ বছর বয়স প্রত্যেক চীনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে, তারা পরিবার ত্যাগ করে আগের মতো বাবা মায়ের সাথে প্রতিদিন দেখা করে না এবং ধীরে ধীরে সমাজের বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ বা স্বেচ্ছাসেবার কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়, তাই অনেক ছাত্রছাত্রী এ সময় লেখাপড়ার চাপ সম্মুখীন করার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনের অনুভূতি পায়, তাদের চরিত্রের ভিন্ন অংশ ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, একটি বাচ্চা থেকে বড় মানুষে রূপান্তর এ সময় থেকে শুরু হয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা ভিন্ন প্রজন্মের চীনাদের ১৮ বছর বয়সের গল্প তুলে ধরব, এর মাধ্যমে চীনা সমাজের পরিবর্তনও প্রতিফলন করা যায়।
চীনের সুবিখ্যাত পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মজীবন পরিকল্পনা ক্লাস চালু করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রম ও প্রশাসনিক একাডেমির সহকারী অধ্যাপক চিন ছিউ পিং নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রশ্ন করেন। তা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে কি কি লক্ষ্যমাত্রা থাকবে? এ বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী স্পষ্ট উত্তর দিতে পারে না। শিক্ষক চিনের দৃষ্টিতে এমন ক্লাসের মাধ্যমে ভিন্ন চরিত্র ও ভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মপরিচয় আর নিজের প্রাধান্য বিবেচনা করে উপযোগী চাকরি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে অনেক ছাত্রছাত্রী স্পষ্ট জীবনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক বলতে পারে না, এ দৃশ্য দেখে তিনিও একটু অবাক হয়েছেন। শিক্ষক চিনের বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি, তাঁর জন্য ১৮ বছর বয়সী চীনা যুবকদের স্বাধীনতার প্রতীক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা মানে পিতামাতার যত্ন ত্যাগ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের সাথে জ্ঞান পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন কাটানোর দক্ষতা চর্চা শুরু করা।
বস্তুত ১৮ বছর বয়স জীবনযাপনের পরিবর্তন প্রত্যেকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ সময় শারীরিক দিকে প্রাপ্তবয়স্ক বলা যায়, তবে মানসিক দিকে অনেকে অপরিপক্ব, মনোবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে ৩০ বছর বয়সের সময় একজনের মানসিক অবস্থা পরিপক্ব বলা যায়। সেই সময় কিশোরকালের চেয়ে মানুষ আরো যৌক্তিকভাবে বিভিন্ন কাজ নিয়ে চিন্তা করে এবং আবেগপূর্ণ কথা বলার অবস্থাও ব্যাপক কমে যায়। সামাজিক মনোবিজ্ঞানের খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে ১৮ বছর বয়সে। ১৮ বছর বয়সের আগে যে কোনো কাজ পিতামাতার সাথে আলাপ করতে হয়, সামাজিক সম্পর্কের দিকে কেবল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্ক গঠন করে থাকে, তবে ১৮ বছর বয়সের পর সমাজের বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কে শিক্ষক চিন বলেন, যখন ছাত্রছাত্রী স্কুলে বসবাস করে, পিতামাতা তার মাসিক খরচ বহন করেন এবং শিক্ষকরা তাদের পড়াশোনা ও জীবনযাপনে সহায়তা দেন, তখন ছাত্রছাত্রীরা ধীরে ধীরে বড়দের মত জীবনযাপন কাটাতে শুরু হয়। এ সময় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী পিতামাতার প্রতি নির্ভরশীলতা ব্যাপক কমে যায় এবং নিজেই দক্ষতায় কিছু দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে এবং অন্যদের সাথে সম্পর্কে মোকাবিলা করে, এটি স্নাতক হওয়ার পর তারা সমাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি।
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিতে ১৮ বছর বয়স একটি বিশেষ মুহূর্ত, কারণ ১৮ বছর বয়সে অনেকে উচ্চবিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তিতে কাওখাও পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাই এ বছরে ৯০ শতাংশেরও বেশি সময় কাওখাও পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করেছে, এ ছাড়া অন্য কাজ করার সময় খুবই কম। ছাত্রী লি মেং এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন তার জন্য পড়াশোনার চাপ উচ্চবিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক কম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমিতিতে যোগ দিতে চেষ্টা করে, নিজের প্রিয় কাজ করার পাশাপাশি পড়াশোনা করে ছাত্রী লি মেংয়ের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, সেটি বেশ ভালো লাগে।
বস্তুত চীনের পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের আবেদনের ফলাফল অনার্স পর্যায়ে গবেষণার পরীক্ষার স্কোর এবং অর্জিত সাফল্যের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা যদি মাস্টার্স পড়তে চায়, তাহলে অনার্স পর্যায়ের পড়াশোনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার জন্য পরিশ্রম করে পড়াশোনা করতে হয় এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে হয়। তবে শুধু পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করা এবং প্রিয় ও মনোযোগী বিষয় নিয়ে গবেষণা করা শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি পুরোপুরি আলাদা। এ সম্পর্কে অধ্যাপক চিন মনে করেন, অনেক ছাত্রছাত্রীর তাদের পড়াশোনার বিষয়ে বেশি আগ্রহ থাকে না, শুধু একটি পরীক্ষার ভালো ফলাফল পেতে চেষ্টা করে। তাই ক্লাসের সময় অনেক নোটবুক লিখে, অসুস্থ হলেও কোনো ক্লাস মিস করবে না, পরীক্ষার আগে সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতির জন্য বিশ্রাম নেয় না। তবে এমন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শুধু অল্প পরিমাণে পরীক্ষায় ভালো স্কোর পেয়েছে, অন্যদের মানসিক অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক।
তাই এমন নেতিবাচক অবস্থার পরিবর্তনে যুবকদের জন্য স্বাস্থ্যবান মানসিক চেতনা গঠন করা বেশ জরুরি। অধ্যাপক চিন মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়, তখন তাদের সামাজিক চরিত্র বহুমুখী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ১৮ বছর বয়সের পর, পরিবারের বাচ্চা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সমাজের নাগরিকসহ বিভিন্ন পরিচয় গড়ে ওঠে। গত কয়েক বছরে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এবং কোভিড মহামারীর কারণে কিছু কিছু এলাকার যুবকদের বেকারত্বের হারও একটু বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার চাপও অনেক বেড়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, ইংরেজি শোনা বা বলার দক্ষতা তুলনা করলে পশ্চিমাঞ্চলের অনুন্নত এলাকার শিক্ষার্থীরা পূর্বাঞ্চলের উন্নত শহরের চেয়ে অনেক দুর্বল। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার চাপের সামনে অধ্যাপক চিনের মন অশান্ত হয়। কারণ শিক্ষক হিসেবে তিনি ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতার চাপ বুঝতে পারেন, অনেক ছাত্রছাত্রী ঠিক জানে যে, নিজের পড়াশোনার দক্ষতা দুর্বল, স্নাতক হওয়ার পর বড় শহরে শ্রেষ্ঠ চাকরি খুঁজে পাওয়া তাদের জন্য বেশ কঠিন ব্যাপার। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনার অনমনীয়তার সমস্যা দিন দিন গুরুতর হচ্ছে। তাই অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার ফলাফল ভালো হলেও তবে চিন্তাভাবনার পদ্ধতি ভালোভাবে জানে না। তাই তাদের চিন্তাভাবনার নমনীয়তার অভাবে স্নাতক হওয়ার পর ভালো চাকরি খুঁজে পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। এ সম্পর্কে চীনের শিক্ষা বিষয়ক এনজিও ‘জুনিয়র অ্যাচিভমেন্ট চায়নার’ স্বেচ্ছাসেবক লিউ চিয়া বলেন, প্রতি বছর তাদের প্রতিষ্ঠান বেইজিংয়ের বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কর্মজীবন ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জরিপে কেবল ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাস্টার্স ডিগ্রি কর্মজীবনের তাত্পর্য নিয়ে সঠিক ধারণা রয়েছে।
চীনের পিপলস বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন সেরা বিষয়ের মেজর বা বিভাগে ব্যাপক ভালো মানের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তাদের পরীক্ষার ফলাফল বেশ ভালো, ১৮ বছর বয়সের আগে শুধু পরীক্ষা ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তাদের দক্ষতা পর্যালোচনা করা হয়, তাই লেখাপড়া তাদের জন্য সরাসরি ও কার্যকর পদ্ধতি। তবে ১৮ বছর বয়সের পর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, তখন বহুমুখী দক্ষতার চর্চা ও প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। যারা চমত্কার স্কোর পায়, তারা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নিজের পড়াশোনার বিষয়ে কোনো আনন্দ পায় না, তখন তাদের পড়াশোনায় সঠিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করাও সহজ ব্যাপার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পর সামাজিক মূল্যবোধ ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং কর্মদক্ষতা উন্নয়ন পরীক্ষার ফলাফলের সাথে জড়িত নয়। স্বেচ্ছাসেবক লিউয়ের দৃষ্টিতে একজন সেরা কর্মীর কর্মদক্ষতা বিবেচনায় কেবল তাদের কাজের মান ও অন্যদের সঙ্গে আদান-প্রদান কার্যকর নয়, বরং যখন সমস্যা হয় তখন তা মোকাবিলা করা আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা কর্মীদের আরো প্রয়োজন।
কর্ম পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টিতে উচ্চবিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রিয় কাজ বা পেশা নিয়ে কিছু ধারণা নির্ধারণ করা ভালো, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট মেজর বেছে নিয়ে পড়াশোনা করা ভালো। ছি ইয়ে চীনের একটি শ্রেষ্ঠ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবন পরিকল্পনাকারী, তিনি যুগের উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষার্থী এবং তাদের বাবা-মা বা দাদা-দাদীরা পেশার চেতনায় নানা পার্থক্য খেয়াল করেন। চলমান কর্মপরিবেশের সম্মুখীনে ভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের ধারণাও ভিন্ন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, ২০১৯ সালে যখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী স্নাতক পাস করে। তখন বিশ্বের ৫০০টি শক্তিশালী রাঙ্কিং কোম্পানিতে ভর্তি হলে বছরের বেতন প্রায় ৩ লাখ ইউয়ান হয়। তবে ২০২১ সালে টিকটক কোম্পানির কর্মীদের বার্ষিক বেতন ৫ লাখ ইউয়ানেরও বেশি হয়। যা শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ উত্সাহব্যাঞ্জক খবর। তবে, শিক্ষক ইয়ে জানেন এটি দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণে বড় কোম্পানির সাময়িক বেতন ব্যবস্থা, বহু বছর ধরে এমন উচ্চ মানের বেতন থাকা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মবাজার নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করা সম্ভব নয়। এটি শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট চেতনার অভাব হওয়ার সাথে জড়িত, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন পরিকল্পনা নিয়ে ক্লাস চালু রয়েছে, তবে অনেকে সে ক্লাস বেছে নেবে না। আর অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে এ ক্লাস বেছে নিয়েছে, তখন প্রায় স্নাতক হওয়ার সময় তখন উপযোগী কর্মজীবনের সাথে জড়িত নতুন মেজর পরিবর্তন করাও অসম্ভব ব্যাপার।
এ অবস্থায় ‘জুনিয়র অ্যাচিভমেন্ট চায়নার’ স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। এ সংস্থায় ১০ থেকে ২০ বছর কর্মজীবনের অভিজ্ঞ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরিত্র, দক্ষতা ও প্রাধান্য বিবেচনা করে উপযোগী চাকরি সুপারিশ করেন। তারা নির্দিষ্ট হিসাব পদ্ধতি ও জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এমন পরামর্শ দেন। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো উপযোগী পরামর্শ দেওয়া সম্ভব। যেমন, একটি পেশা উন্নয়নের ইতিহাস, ভবিষ্যত উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং এ পেশায় করতে চাইলে কি কি কর্মদক্ষতা প্রয়োজন ইত্যাদি।
তা ছাড়া, ইন্টার্নশিপ সুযোগ খুঁজে পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারশিপ কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেজর ও কাজের সাথে খাপ খাওয়ানো যায় কিনা- তা টেস্ট করা সম্ভব। স্বেচ্ছাসেবকরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অন্তত ৩ ধরনের চাকরি ভালো। ভিন্ন কর্মজীবনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজের স্টাইল এবং সহকর্মীদের কাজের পদ্ধতি আর নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা জানতে পারে।
কর্মজীবন পরিকল্পনাকারীদের পরামর্শে শিক্ষার্থীরা উচ্চবিদ্যালয়ের সময় বা ১৮ বছর আগে নিজের দক্ষতা জানার জন্য চেষ্টা করা উচিত। যেমন নিজের স্বাধীনভাবে কাজ করার দক্ষতা এবং অন্যদের সাথে সহযোগিতা দক্ষতা। ‘জুনিয়র অ্যাচিভমেন্ট চায়নার’ স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে আর্থিক ব্যবস্থা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন এবং কোম্পানির পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কিভাবে কোম্পানি প্রশাসন করা বা কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগের কাজের প্রতি একটি ধারণা জানতে সক্ষম, এটি তাদের স্নাতক হওয়ার পর উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য আসল ধারণা দিতে পারে।
মোদ্দাকথা, ১৮ বছর বয়স চীনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। একজন মানুষ হিসেবে বড় হওয়ার পথে স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের সময়। প্রতিটি যুবক এ সময় নিজের সঠিক চেতনা ও মূল্যবোধ অর্জন করা এবং উপযোগী কর্মজীবন বা চাকরি খুঁজে পেতে চায়।