চীনাদের জন্য ১৮ বছর বয়সের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মবাজার নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করা সম্ভব নয়। এটি শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট চেতনার অভাব হওয়ার সাথে জড়িত, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন পরিকল্পনা নিয়ে ক্লাস চালু রয়েছে, তবে অনেকে সে ক্লাস বেছে নেবে না। আর অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে এ ক্লাস বেছে নিয়েছে, তখন প্রায় স্নাতক হওয়ার সময় তখন উপযোগী কর্মজীবনের সাথে জড়িত নতুন মেজর পরিবর্তন করাও অসম্ভব ব্যাপার।
এ অবস্থায় ‘জুনিয়র অ্যাচিভমেন্ট চায়নার’ স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। এ সংস্থায় ১০ থেকে ২০ বছর কর্মজীবনের অভিজ্ঞ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরিত্র, দক্ষতা ও প্রাধান্য বিবেচনা করে উপযোগী চাকরি সুপারিশ করেন। তারা নির্দিষ্ট হিসাব পদ্ধতি ও জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এমন পরামর্শ দেন। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো উপযোগী পরামর্শ দেওয়া সম্ভব। যেমন, একটি পেশা উন্নয়নের ইতিহাস, ভবিষ্যত উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং এ পেশায় করতে চাইলে কি কি কর্মদক্ষতা প্রয়োজন ইত্যাদি।
তা ছাড়া, ইন্টার্নশিপ সুযোগ খুঁজে পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারশিপ কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেজর ও কাজের সাথে খাপ খাওয়ানো যায় কিনা- তা টেস্ট করা সম্ভব। স্বেচ্ছাসেবকরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অন্তত ৩ ধরনের চাকরি ভালো। ভিন্ন কর্মজীবনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজের স্টাইল এবং সহকর্মীদের কাজের পদ্ধতি আর নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা জানতে পারে।
কর্মজীবন পরিকল্পনাকারীদের পরামর্শে শিক্ষার্থীরা উচ্চবিদ্যালয়ের সময় বা ১৮ বছর আগে নিজের দক্ষতা জানার জন্য চেষ্টা করা উচিত। যেমন নিজের স্বাধীনভাবে কাজ করার দক্ষতা এবং অন্যদের সাথে সহযোগিতা দক্ষতা। ‘জুনিয়র অ্যাচিভমেন্ট চায়নার’ স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে আর্থিক ব্যবস্থা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন এবং কোম্পানির পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কিভাবে কোম্পানি প্রশাসন করা বা কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগের কাজের প্রতি একটি ধারণা জানতে সক্ষম, এটি তাদের স্নাতক হওয়ার পর উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য আসল ধারণা দিতে পারে।
মোদ্দাকথা, ১৮ বছর বয়স চীনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। একজন মানুষ হিসেবে বড় হওয়ার পথে স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের সময়। প্রতিটি যুবক এ সময় নিজের সঠিক চেতনা ও মূল্যবোধ অর্জন করা এবং উপযোগী কর্মজীবন বা চাকরি খুঁজে পেতে চায়।