চীনের রেলপথে ট্রেন মেরামতকারী যুব প্রকৌশলীদের গল্প
ওই শিক্ষার্থীর নাম শি ইউয়ে যিনি বেইজিংয়ে চীনা মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যিক চীনা মেডিসিন (টিসিএম) বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী। ১৭ জানুয়ারি বেইজিংয়ের ৫ নম্বর সাবওয়েতে একজন মধ্যবয়সী নারী যাত্রী হঠাত্ অজ্ঞান হয়ে যান। তখন সাবওয়ের যাত্রীরা তাকে ধরে সাবওয়ে স্টেশনের আসনে শুইয়ে দেন। শি ইউয়ে একই বগিতে ছিলেন, তিনি আকুপাংচার আর জীবাণুমুক্ত অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে নারীর জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চীনা নেটিজনরা শিক্ষার্থী শি ইউয়ে’র চমৎকার আকুপাংচার প্রযুক্তি দেখে ব্যাপক প্রশংসা করেন। তারা মনে করেন, চীনা ঐতিহ্যিক চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ কার্যকর এবং অপরিচিত একজন মানুষকে এভাবে শুশ্রুষা করাটাও হৃদয়গ্রাহী।
সাক্ষাৎকারে ছাত্রী শি ইউয়ে বলেন, রোগীর শুশ্রুষা করা আমার দায়িত্ব, কারণ আমার পড়াশোনার বিষয় চীনা ঐতিহ্যবাহী মেডিসিন। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমার সাথে আকুপাংচার সরঞ্জাম থাকে। আসলে সেদিন আমি আকুপাংচার পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
এক মধ্যবয়সী নারী যাত্রী আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সাবওয়ে একটি স্টেশনে প্রবেশের আগে তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাঁর মুখ সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং ডাকাডাকিতে তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। তখন আমি তাঁর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করি, তাঁকে অনেক দুর্বল মনে হয় এবং আমার ধারণা করি, তিনি হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে চিনির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে অজ্ঞান হয়ে গেছেন। সাবওয়ে স্টেশনে পৌঁছে কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। সে সময় নারী যাত্রীর হৃদস্পন্দন মেপে শিক্ষার্থী শি ইউয়ে আকুপাংচার সরঞ্জাম দিয়ে তাঁর হাত ও মুখসহ কয়েকটি পয়েন্টে আকুপাংচার করেন। কয়েকবার আকুপাংচার করার পর অজ্ঞান নারীর জ্ঞান ফিরে আসে। তখন শি ইউয়ে দ্রুত তার পরীক্ষায় অংশ নিতে চলে যান।