বাংলা

চীনের অন্যরকম শিক্ষক চং কুয়াং ছুনের গল্প

CMGPublished: 2024-02-05 15:00:25
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ছেলে চং আরও বলেন, ওই ঘটনার পর তিনি বাবার পাশে বসে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করেন। বিদেশে পড়াশোনার সময় চং থিয়ান ছি বাবার ‘সহকারী পড়াশোনা ক্লাসের’ প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারেন। বাবার নিরলস প্রচেষ্টা তাঁকে আরও মনোযোগ দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা করতে উত্সাহ দিয়েছে। তিনিও বাবার মতো মনোযোগ দিয়ে আরও অনেক তাত্পর্যপূর্ণ কাজ করতে চান।

গত বছরের অক্টোবর মাসে শরীরের অসুস্থতার কারণে শিক্ষক চং হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে, বই ও কম্পিউটার নিয়ে যান হাসপাতালে। তাঁর স্ত্রী ইয়ু সু ছিন বলেন, “আমার স্বামী যত দ্রুত সম্ভব তাঁর শিক্ষাদানসংশ্লিষ্ট গবেষণার ফলাফল সংগ্রহ করতে চান। আরও বেশি শিক্ষার্থীর উপকার করতে চান।” অক্টোবর মাসে অসুস্থতার কারণে কেবল বিছানায় শুয়ে থাকেন শিক্ষক চং। তবে, যতক্ষণ জেগে থাকতেন, ততক্ষণ তিনি স্কুলের উন্নয়নের পরিকল্পনা করতেন। শিক্ষক চং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী তাকে দেখতে যান। প্রতিদিন তাঁর রুমে লোকের আনাগোনা ছিল। তবে এক মাস পর তিনি দুনিয়া থেকে চিরদিনের মতো বিদায় নেন।

শিক্ষক চংয়ের বড় ভাই সংবাদদাতাকে বলেন যে, ছোটবেলায় তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল, তাই পড়াশোনার মাধ্যমে ছোট ভাই চং কুয়াং ছুন নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেন। শিক্ষকতা তাঁর জন্য বিশেষ তাত্পর্য বহন করতো। তিনি এ পেশাটি বেশ ভালোবাসতেন। অসুস্থতার মধ্যেও তিনি শিক্ষকতার কাজ করার চেষ্টা করতেন। সেটিও তাঁর ছেলে চং থিয়ান ছির জন্য বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি বাবার মতো মন দিয়ে প্রিয় কাজ করতে শিখেছেন।

২০২৩ সালের পয়লা নভেম্বর শিক্ষক চং কুয়াং ছুনের জন্মদিন। হাসপাতালে তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে জন্মদিন পালন করেন। তবে, পরের কয়েক দিন কোনো খাবার খেতে পারেননি। ৪ নভেম্বর তিনি এই দুনিয়া ছেড়ে অন্য দুনিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ছেলে চং থিয়ান ছি বাবার প্রিয় কবিতার বই ‘বাচ্চাকে রক্ষার দূরত্ব’ পড়েন এবং কবিতা পড়তে পড়তে তার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়।

首页上一页...2345 5

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn