চীনের অন্যরকম শিক্ষক চং কুয়াং ছুনের গল্প
২০২৪ সালের বসন্ত উত্সব আসন্ন। চীনাদের জন্য বসন্ত উত্সব একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্সব। এটি কেবল আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মিলনের মুহূর্ত নয়, বরং গত বছরকে বিদায় জানানো এবং নতুন বছরের নতুন সাফল্য অর্জনের প্রত্যাশার সাথেও সম্পর্কিত। শিশু-কিশোরদের কাছে বসন্ত উত্সব একটু বেশি আনন্দের। কারণ, তাঁরা লাল খামে টাকা পাবে, নতুন কাপড়চোপড় পরবে, এবং অন্যান্য উপহার পাবে। বড়দের জন্য এ উত্সবের তাত্পর্য আলাদা। যারা বাবা-মার সাথে থাকেন না, এমন বড়দের জন্য শুধু বসন্ত উত্সব বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ। বসন্ত উত্সব বড় পরিবারের পুনর্মিলনের মুহূর্ত। তবে, যারা পরিবারের কোনো সদস্যকে হারিয়েছেন, তাদের জন্য বসন্ত উত্সব একটি দুঃখের সময়। কারণ, অন্যদের পরিবারে সবার পুনর্মিলন দেখে তাদের মনে দুঃখ লাগা স্বাভাবিক।
গত ৪ নভেম্বর চীনের চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরের রুইচিন উত্তর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট চং কুয়াং ছুন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। টানা ২ বছর ধরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে হার মানতে হয়েছে এবং তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন মাত্র ৫৭ বছর বয়সে।
শিক্ষক চং কুয়াং ছুন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষক ও নিজের স্কুলের শিক্ষার্থীদের মনে কী ধরনের শিক্ষক ছিলেন? আসুন, একটু জেনে নিই।
ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা সৃষ্টিতে ও তাদেরকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষক চং বিশেষ প্রস্তুতি নিতেন। যেমন, তাঁর ক্লাস শুরুর আগে তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি তালিকা দিতেন, যাতে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের আগে নিজের পড়াশোনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতো। ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের প্রদর্শন, আলোচনা ও অনুশীলনসহ বিভিন্নভাবে তিনি শেখাতেন। তিনি ক্লাসরুমের পিছনে দাঁড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কথা শুনতেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, যদি ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই পড়াশোনার বিষয় বুঝতে পারে বা সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম, তাহলে শিক্ষকদের কাজ থেকে অতিরিক্ত কোনো সাহায্য দেওয়ার দরকার নেই।