চীনের অন্যরকম শিক্ষক চং কুয়াং ছুনের গল্প
চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের তুংকুয়ান শহরের শিলং জেলার প্রাথমিক স্কুলের গণিত শিক্ষক তু চিউ’র দৃষ্টিতে শিক্ষক চংয়ের ‘সহকারী ক্লাস’ চিন্তাধারা বেশ বাস্তব ও কার্যকর। কারণ, এটি কেবল একটি স্লোগান নয়, বরং এতে ক্লাসের পড়াশোনার মৌলিক কাঠামো নির্ধারিত হয়, এবং এভাবে শিক্ষকরা সহজে চর্চা করতে পারেন। শিক্ষক চং টানা ৩ বার শিলং জেলার প্রাথমিক স্কুলে আসেন। শিক্ষক তু চিউ’র দৃষ্টিতে ক্লাসের ডায়াসে দাঁড়িয়ে গেলে শিক্ষক চংয়ের বেশ উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় চেহারা দেখা যায়। তাঁর ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা বেশ মজা পায়। প্রতি সেমিস্টারে স্কুলের ১০ জন শিক্ষক রুইপেই প্রাথমিক স্কুলে ইন্টারশিপ করতে যান। প্রতিবার এক মাস থাকেন। এভাবে গত কয়েক বছরে শিলং জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক চংয়ের ‘সহকারী ক্লাস’ পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং জেলার ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ফলাফলও শহরে শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে।
২০২৩ সালে চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার উহাই শহরের হাইবোওয়ান এলাকার ২ নম্বর প্রাথমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট মা রং টানা ৩ বার শিক্ষকদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট ‘সহাকারী পড়াশোনা পদ্ধতি’ শিখতে রুইপেই প্রাথমিক স্কুলে আসেন। প্রতিবার শিক্ষক চং স্কুলের দরজায় দাঁড়িয়ে তাঁদের স্বাগত জানান। শিক্ষক মা মনে করেন, শিক্ষক চংয়ের পড়াশোনার পদ্ধতি সহজ এবং ছাত্রছাত্রীদের নিজে নিজে পড়াশোনার দক্ষতার উন্নয়নে বেশ কার্যকর। মা যখন তৃতীয়বার রুইপেই প্রাথমিক স্কুলে যান, তখন শিক্ষক চংয়ের শরীরে অসুস্থতা খেয়াল করেন। তবে তিনি বিশ্রাম নেননি, বরং বাইরে থেকে আসা শিক্ষকদের সাথে তাঁর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। তিনি আরও বেশি শিক্ষকের কাছে তাঁর শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও চেতনা তুলে ধরতে চাইতেন। যখন শিক্ষক চংয়ের মৃত্যুর খবর পেলেন, তখন ইনার মঙ্গোলিয়ার হাইবোওয়ান ২ নম্বর প্রাথমিক স্কুলের অনেক শিক্ষক কাঁন্নাকাটি করেন। কারণ, শিক্ষক চং তাঁর শিক্ষকতার প্রতি আগ্রহের জন্য সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।