চীনের অন্যরকম শিক্ষক চং কুয়াং ছুনের গল্প
২০০৬ সাল থেকে শিক্ষক চংয়ের নেতৃত্বে শিশুদের প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিস্তারিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নিজের শিক্ষকতার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট জ্ঞান অর্জন করা এবং ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে সবার সাথে পড়াশোনার অনুভূতি শেয়ার করা অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের শুধু কিছু আনুষঙ্গিক কাজ করলেই চলে।
এমন নতুন শিক্ষাপদ্ধতি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। ১০ বছরের মধ্যে শিক্ষক চং এবং তাঁর সহকর্মীদের যৌথ প্রয়াসে, ‘নিজে নিজে পড়া’-র ধারণার ওপর ভিত্তি করে নতুন শিক্ষাপদ্ধতি চীনের ১০টিরও বেশি প্রদেশের শতাধিক প্রাথমিক স্কুলের ২০ সহস্রাধিক শিক্ষকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বস্তুত, এমন ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা অনুপ্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়াশোনা করে থাকে, তাদের দৃঢ় জ্ঞানের ভিত্তি অর্জিত হয়, এবং নিজে নিজে পড়াশোনার দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। তখন তারা অজানা বিষয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন করতে উত্সাহিত হয়। এ সম্পর্কে বেইজিং দ্বিতীয় শিইয়ান প্রাথমিক স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়া ইং লং বলেন, শিক্ষক চংয়ের ক্লাসে বোরিং লাগে না, বরং শিক্ষার্থী মজা পায়।
চীনের শানতুং প্রদেশের জিবো শহরের কুয়ানচং প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ওয়াং লি সিয়া বলেন, ‘শিক্ষক চং সবসময় আমাদের বলেন যে, শিক্ষকরা যেন মৌমাছি পালনকারীর মতো ছাত্রছাত্রীদের ‘ফুটন্ত ফুলের জায়গায়’ নিয়ে যান; সেখানে পৌঁছার পর তারা নিজেরাই মধু সংগ্রহের কাজ করে। ২০১৪ সালে শিক্ষক চং জিবো শহরে গিয়ে শিক্ষক ওয়াংয়ের স্কুলে একটি ক্লাসে অংশ নেন। সেই ক্লাস ওয়াং’র ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। গত কয়েক বছরে তিনি মনোযোগ দিয়ে ‘পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস’ থেকে ‘প্রাণবন্ত ক্লাস’-এ উত্তরণে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এভাবে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে বসে নতুন জ্ঞান অর্জনের সময় গল্প শোনার মতো আরও সহজভাবে তা অর্জন করতে পারে।