চীনা যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নাইট ক্লাস জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ
অনেকে প্রথম সেলাই দক্ষতা ছোটবেলার একটি শখের ক্লাসে শিখেছিলেন। সেই সময় প্রতিদিন বিকালে স্কুলের ক্লাসের পর ৪০ মিনিটের অতিরিক্ত ক্লাস থাকতো। তখন ছবি আঁকা ও হস্তকর্মশিল্পসহ বিভিন্ন বিষয় বেছে নিতে পারতেন ছাত্রছাত্রীরা। গণিত শিক্ষকের সহায়তায় সেলাই ক্লাস থেকে স্কার্ফ বানাতে শিখতে পেরেছেন একজন। সেটি বেশ মজার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি।
এখন কুওমাও অফিস ভবনের নাইট স্কুলের সেলাই ক্লাসে ব্যাগসহ আরো অনেক জিনিস তৈরির পদ্ধতি শিখতে পারেন শিক্ষার্থীরা। যেমন, ব্যাগ বানাতে হাত দিয়ে সেলাই করার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট জায়গায় বোতাম ঠিক করা প্রয়োজন। যদিও পরিচিত সেলাই দক্ষতার কারণে ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সেলাই কাজ দেখতে বেশ সুন্দর নয়, তবে অনেকে এমন কাজ থেকে মানসিক শান্তি পেয়েছেন এবং তারা নিজের ব্যাগের ছবি তুলে পরিচিত বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিতে আনন্দ পান। রাতের ২ ঘন্টা সময় এমন কাজের মধ্যে দ্রুত পাস হয় এবং এ অভিজ্ঞতা সবার জন্য সুখের স্মৃতিতে পরিণত হয়।
শাংহাইয়ের শহরবাসী মিস চুয়াং লিং একটি ব্যাংকের ম্যানেজার। প্রতিদিন তাঁর অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ব্যাংকের কাজে কঠোর মান বজায় রাখতে হয়। সময়মতো অফিসে যাওয়া এবং অ্যাকাউন্ট ও টাকার হিসাব ঠিক রাখা, ইত্যাদি সুশৃঙ্খলভাবে করতে হয়। যখন অফিসের কাজ শেষ করেন, তখন তার মন ও শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত হয়। তিনি অফিস থেকে বাসায় ফিরে শুধু বিছানায় শুয়ে থাকতে চান এবং মোবাইল ফোনে গেমস খেলেন। তবে, মহামারীর সময় টানা ৪৪ দিনের মতো অফিস যাওয়া হয়নি। তখন থেকে চুয়াং নিজের জীবনযাপনে নতুন বিষয় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে তিনি পাহাড়ে আরোহণ করেন, ছবি তোলেন এবং ইয়োগা চর্চা করাসহ বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হন। তবে, অবশেষে নাইট ক্লাস তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।