চীনা যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নাইট ক্লাস জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ
আগের অনুষ্ঠানে আমরা চীনা যুবক-যুবতীদের মধ্যে ‘রাতের ক্লাস’ জনপ্রিয় হওয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। অনেকেই আজকাল অফিসের কাজ শেষ করে রাতে বিভিন্ন ধরনের ক্লাস করেন। এমন ক্লাসের মাধ্যমে তারা অনেক অপরিচিত তবে একই কাজে আগ্রহী সহপাঠীদের খুঁজে পায়। একসাথে নাইট ক্লাস করা বেশ আনন্দের ব্যাপার। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের ভিন্ন শহরে প্রচলিত ভিন্ন ধরনের রাতের ক্লাস সম্পর্কে আলোচনা করবো।
রাতের সেলাই ক্লাস
বেইজিংয়ের সবচেয়ে ব্যস্ত ও প্রাণবন্ত কুওমাও ব্যবসায়ী এলাকার একটি ভবনে সেলাই ক্লাসে বিভিন্ন রঙয়ের কাপড়, ববিন, সেলাই মেশিন ও বোতাম টেবিলে রেখে কয়েকজন নারী মনোযোগ দিয়ে হাতের সেলাই-কাজ করেন। কেউ কেউ চায়ের কাপের কাভার সেলাইয়ে ব্যস্ত, কেউ কেউ সেলাই পদ্ধতির সঠিক ভঙ্গি সম্পর্কে জানতে শিক্ষককে প্রশ্ন করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা নিজ নিজ অফিসের কাজ শেষ করে, সময়মতো রাতের এ ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন। ক্লাসের একজন নারী শিক্ষার্থী জানান, আগের রাতে তিনি একটি ফুল সেলাই করার জন্য বিছানায় সেলাই উপকরণ রেখে দিয়েছিলেন। লম্বা টেবিলের চার পাশে বসে নিজের হাতে সেলাই কাজ করার সাথে সাথে অন্যদের সেলাই কাজের অগ্রগতিও দেখতে পান তারা। এমন কাজ করার সময় তারা যেন সূর্যালোকের নিচে গ্রামীণ প্রাঙ্গণে বসার মতো আন্তরিক আড্ডার সাথে হাতের হস্তকর্মশিল্প করেন। এটা সব শিক্ষার্থীর জন্য মনের শান্তি ও বিশ্রামস্বরূপ। এ সম্পর্কে এ সেলাই ক্লাসের শিক্ষক লিউ কুও চিয়ে বলেন, “আমাদের এ ক্লাস ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কুওমাও মলের একটি অফিস ভবনে খোলা হয়। এ ক্লাস খোলার প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাজার জন ছাড়িয়ে যায় এবং আরও দুই মাস পর বেইজিংয়ের হাইতিয়ান এলাকা ও ছাওইয়াং এলাকার শাখা ক্লাস চালু করা হয়। এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০০০ জনেরও বেশি।” চীনা যুবক-যুবতীদের মধ্যে জনপ্রিয় এপিপি ‘সিয়াওহংশু’-তে তারা সেলাই ক্লাসের একটি অ্যাকাউন্ট চালু করেছেন। এখন প্রতিদিন ক্লাসের তথ্য জেনে নিতে আগ্রহীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে।