চীনা নভোচারীরা যেভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন
এ গল্প শুনতে একটু আলাদা, তবে সেটি অতিরিক্ত ক্লাসের ক্ষতির প্রতিফলন। যদি বাচ্চারা অতিরিক্ত পড়াশোনার কারণে নতুন জ্ঞান জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তাহলে তাদের মানসিক সমস্যা ঘটবে এবং এসব সমস্যা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কিছু কিছু বাচ্চা অতিরিক্ত পড়াশোনার কারণে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেয়েছে, সমবয়সের বাচ্চার চেয়ে অনেক আগে উচ্চবিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, তবে তারা বড় হওয়ার পর অনেকের মধ্যে চারিত্রিক দুর্বলতা বা মানসিক সমস্যা দেখা গেছে।
তাই বলা যায়, লেখাপড়ায় দক্ষতার চর্চা জ্ঞানের পরিমাণের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে লেখাপড়ায় দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জনের পরিমাণ একই ব্যাপার নয়। মানুষের মাথার উন্নয়ন নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা অনুসরণ করে। যখন প্রিস্কুল পর্যায়ে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বিকশিত হয়নি, তখন তাদের চেতনা, স্মৃতি ও বোঝায় কিছু দুর্বলতা থেকে যায়। অনেক ছোট বয়সের বাচ্চার অতিরিক্ত পড়াশোনার মূল বিষয় মুখস্ত করা। তবে দীর্ঘকাল ধরে এটা বাচ্চাকে ব্যাপক মানসিক চাপের সম্মুখীন করে। তারা পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
লন্ডনে আয়োজিত এক ফোরামে বিশেষজ্ঞরা জানান, ৩ বছর বয়সের আগে বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত নয়। এ সময় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হবার আগ্রহ গড়ে তোলা আরও বেশি জরুরি। বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে শেখার আগ্রহ তৈরি সহজ। বাচ্চার সাথে পার্কে গাছপাতা সংগ্রহ করা, কার্টুন চলচ্চিত্র দেখা, বিভিন্ন খেলাধুলার পদ্ধতি শেখা ভালো। এসব অভিজ্ঞতা থেকে বাচ্চারা বিশ্ব অনুসন্ধানে আগ্রহী হবে।
বাচ্চাদের মানসিক অবস্থা তার জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকে যথেষ্ঠ খেলাধুলার সময় পাওয়া বাচ্চার চরিত্রের ওপর আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে পরে নতুন জিনিস ও প্রযুক্তি গ্রহণ তাদের জন্য সহজতর হয়।
মোদ্দাকথা, স্বাধীন চিন্তাভাবনা, সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা, আত্মপ্রকাশ, ও নিজে নিজে লেখাপড়ার আগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ের ওপর পিতামাতার উচিত মনোযোগ দেওয়া।