চীনা নভোচারীরা যেভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন
যুব নভোচারীদের মধ্যে অনেকে ইয়াং লি ওয়েইকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখেন। তারা ইয়াংয়ের মতো মহাশূন্যে যাত্রা সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন এবং নিজের স্বপ্নের বাস্তবায়নে প্রয়াস চালান।
এসব নভোচারী গড়ে ১০ বছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মহাশূন্যে যাওয়ার সুযোগ পান। তাদের অপেক্ষা থেকে বোঝা যায় নভোযানের কর্তব্য কতোটা জটিল ও গম্ভীর। গত ২০ বছরে চীনে মোট ১৮ জন নভোচারীকে মহাশূন্যে পাঠানো হয় এবং তাদের গড় বয়স ৪১ বছর। তাদের মধ্যে দু’জন নারীও রয়েছেন।
শেনচৌ ১৬ নভোযানে মোট ৩ জন নভোচারী রয়েছেন। তাদের ডাক নাম ‘ডক্টর ক্রু দল’। নভোচারী চু ইয়াং চু চীনের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন, যিনি চীনের প্রথম মহাকাশ ফ্লাইট প্রকৌশলী। তাঁর সাথে আরও দু’জন নভোচারী মহাকেন্দ্র চালুর পর প্রথম মানববাহী যাত্রা সম্পন্ন করেন এবং মহাশূন্যে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত পরীক্ষাও করেন।
শেনচৌ-১৬ নভোযানে আরেকজন নভোচারী কুই হাই ছাও চীনের মহাকাশেকেন্দ্রের প্রথম পেলোড বিশেষজ্ঞ, যিনি কেবল পেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নয়, বরং চীনের প্রথম অসৈনিক নভোচারী, যিনি চশমাও পড়েন। তাঁর গল্প অনেক সাধারণ মানুষকে উত্সাহিত করতে পারে।
চীনা নভোচারীদের জীবনকাহিনী সম্পর্কে জানতে গিয়ে জেনেছি যে, নিয়ে হাই শেংয়ের পরিবার অনেক দরিদ্র। তবে, গণিতে তিনি খুব ভালো ছিলেন। তার বুদ্ধি ও ইচ্ছাশক্তির ওপর ভিত্তি করে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ নভোচারীতে পরিণত হন। লিউ ওয়াং ছোটবেলা থেকে বিদ্যুতের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন। ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডক্টরেট স্নাতক শিক্ষার্থী লিউ ইয়াং নারীর সহনশীলতা ও আন্তরিকতায় চীনের মহাশূন্য কার্যক্রমে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকেন।
২০০৩ সালে চীনের প্রথম শেনচৌ-৫ নভোযান সাফল্যের সঙ্গে মহাশূন্যে যাত্রা করে। গত ২০ বছরে চীনের নভোচারী দল প্রায় শূন্য থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। চীনা নভোচারীরা মহাশূন্য কর্তব্যের স্বাক্ষী এবং চীনা মহাশূন্য স্বপ্নের অনুশীলনকারী।