চীনা নভোচারীরা যেভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন
বাচ্চাদের পড়াশোনা প্রসঙ্গে
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি আইনের খসড়া প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, প্রিস্কুল পর্যায়ে প্রাথমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের বিষয় বাচ্চাদের পড়ানো হবে না, তাদের বয়সের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ জ্ঞান ও তথ্য দিতে হয়। তবে কোনো কোনো পিতামাতা মনে করেন, কেবল অন্য বাচ্চাদের চেয়ে আরও আগে বিভিন্ন জ্ঞান আয়ত্ব করা বাচ্চার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। কোনো কোনো পিতামাতা বলেন যে, যদিও বর্তমানে চীনের প্রাথমিক স্কুলে শূন্য থেকে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে অনেক বাচ্চা স্কুলে ভর্তির আগেই লেখাপড়া শুরু করে। যারা অন্যদের চেয়ে আগে স্কুলের বিষয় শিখতে পেরেছে, তাদের জন্য স্কুলের পড়াশোনা শুরুর দিকে সহজতর হয়। ফলে অনেক বাচ্চার বাবা-মা প্রিস্কুল পর্যায় থেকে চীনা ভাষা, গণিত ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন অতিরিক্ত ক্লাসে যোগ দিতে নিজেদের বাচ্চাদের উত্সাহ দেন বা বলতে গেলে বাধ্য করেন।
তবে, এমন পদ্ধতি কি বাচ্চাদের জন্য ভালো? এ নিয়ে একটি খবরে দেখা গেছে, চীনের উহান শহরের একজন বাচ্চা ৫ বছরের মধ্যে ১.২ লাখ ইউয়ান খরচ করে মোট ১৭টি বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়েছে। যখন এ ছেলে ৫ বছর বয়সের তখন সে প্রাথমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর সব কোর্স সম্পন্ন করে ফেলে এবং ইংরেজি পরীক্ষায় চমত্কার স্কোর করে। তবে, অতিরিক্ত ক্লাস থাকায় সে প্রতি সপ্তাহে মাত্র অর্ধেক দিন ছুটি কাটাতে পারে এবং প্রতিদিন রাত ৯টায় তাকে বাসায় ফিরতে হয়। প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে তার পরীক্ষার ফলাফল বেশ ভালো। তবে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ক্লাসে সে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকে। ধীরে ধীরে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারাতে থাকে সে এবং কখনই বাড়ির কাজ শেষ করতে পারে না। তার মা বাচ্চাকে শ্রেষ্ঠ ও বুদ্ধিমান বাচ্চা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু সে শৈশবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়।