‘বসন্ত কুঁড়ি’ প্রকল্পের উপকৃত মেয়েদের গল্প
মেয়ে ফান চিয়ান রু ২০১৬ সালে উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের’ অর্থ সহায়তা পায়। ২০১৯ সালে সাফল্যের সঙ্গে ছিংতাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সে এবং টানা ৪ বছর ধরে ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের’ অর্থ সাহায্য পেতে থাকে। এতে অর্থের চিন্তা বাদ দিয়ে সে মনোযোগ দিয়ে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবার তালিয়ান পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয় সে। ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্প’ সম্পর্কে সে বলে, “আমার পরিবার অনেক দরিদ্র ছিল। তখন আমার মন অনেক অশান্ত ছিল। যখন আমি জন্মস্থানের নারী ফেডারেশনের মাধ্যমে ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের’ স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য পাই, তখন আমার মন শান্ত হয়। তাদের আন্তরিক সমবেদনা, উত্সাহ ও সাহায্য এবং বিভিন্ন গঠনমূলক পরামর্শ পেয়ে আমি ধীরে ধীরে বড় হয়েছি।’ ফানের দৃষ্টিতে বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের সহায়তায় সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। স্নাতক হওয়ার পর অবশ্যই আরও পরিশ্রম করে কাজ করবে সে।
মেয়ে মা ই ছিং বলে, বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের কর্মীরা স্কুলে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। উচ্চবিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর মেয়েদের পরস্পরকে সমর্থন দেওয়ার জন্য কাওখাও পরীক্ষার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মেয়েরা স্কুলে এসে জুনিয়ার মেয়েদের পরামর্শ ও উত্সাহ দেয়। তাদের পড়াশোনার সফল অভিজ্ঞতা তুলে ধরে।
জানা গেছে, বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্প কেবল দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের পড়াশোনায় অর্থ বা সহায়তা দেয় না, বরং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন দিকেও খেয়াল রাখে। ২০১৯ সালে চীনের শিশু ও কিশোর-কিশোরী তহবিলের উদ্যোগে ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্প’ হাতে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে মেয়েদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, তাদের পড়াশোনা বন্ধ হতে না দেওয়া, এবং পড়াশোনার সাথে সাথে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়।