বাংলা

‘বসন্ত কুঁড়ি’ প্রকল্পের উপকৃত মেয়েদের গল্প

CMGPublished: 2023-11-13 15:30:35
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কাওখাও পরীক্ষার আগে ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্প’ কার্যালয়ের কর্মীরা কয়েক ডজন ‘বসন্ত কুঁড়ি মেয়ের’ জন্য সূর্যমুখী ফুল, সৌভাগ্যের মিছরিসহ বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসেন। মেয়ে মা সে দৃশ্য স্মরণ করে বলে, ‘সেটি আমার জন্য একটি বড় উত্সাহ এবং শ্রেষ্ঠ উপহার ছিল।’

যখন মা ই ছিং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধনপত্র হাতে পায় তখন সে ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পে’ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিল। ডাক অফিস থেকে নিবন্ধপত্র পাওয়া ছিল তাঁর জন্য অতি আনন্দদায়ক ব্যাপার। বস্তুত, মা ই ছিংয়ের মতো আরো অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের’ সাহায্যে দূরবর্তী এলাকার পাহাড়াঞ্চল থেকে বের হয়ে বাইরের দুনিয়া দেখার সুযোগ পেয়েছে।

তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাছু শহরের চিয়ালি জেলার ছুওতুও উপজেলার প্রাথমিক স্কুলের মেয়ে রাগারামু এবার ‘বসন্ত কুঁড়ি শ্রেষ্ঠ মেয়ে’ পুরস্কার পেয়েছে। ভালো লেখাপড়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেষ্টা করে সে এবং বড় হওয়ার পর একজন শিক্ষিকা হতে চায়।

গত শতাব্দীর ৮০-র দশকে চীনের কুয়াংসি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লিউচৌ শহরের রংশুই মিয়াও জাতিঅধ্যুষিত জেলায় স্থানীয় নারী ফেডারেশন ও শিক্ষা ব্যুরোর যৌথ প্রয়াসে দূরবর্তী পাহাড়াঞ্চলের গ্রামে প্রত্যেক পরিবারের মেয়ের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাইইয়ুন উপজেলায় মেয়েদের জন্য বিশেষ ক্লাস শুরুর পর, স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ আসে। সেটিও ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের’ একটি উদ্যোগ।

যুগ পরিবর্তন ও নির্দিষ্ট শিক্ষা-সহায়তানীতির প্রেক্ষাপটে, ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্প’ উচ্চবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের দরিদ্র মেয়েদের সাহায্য করছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ‘বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্প’ মোট ২ বিলিয়ন ৯১.১ কোটি ইউয়ান সংগ্রহ করে এবং উপকৃত মেয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০.৯ লাখ।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn