‘বসন্ত কুঁড়ি’ প্রকল্পের উপকৃত মেয়েদের গল্প
বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের কারণে তিনি শিক্ষক হতে পেরেছেন। তাই তার দায়িত্ব আরও বেশি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং বাচ্চাদের শেখানোর সময় নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়া। এটা তিনি মনে করেন।
চীনের হুপেই প্রদেশের মেয়ে ওয়াং ইয়ুন লিং ছোটবেলা থেকে ভালো করে লেখাপড়া করছিল। বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষকদের দৃষ্টিতে সে ছিল শ্রেষ্ঠ ছাত্রী। তবে তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ছিল দুর্বল। উচ্চবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে সে বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের অর্থ সাহায্যের জন্য আবেদন করে। তার আবেদন মঞ্জুর হয় এবং সে টানা ৩ বছর প্রকল্প থেকে সাহায্য পায়। পরে কাওখাও পরীক্ষায় সে চমত্কার স্কোর করে এবং চংনান অর্থনীতি ও আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অনার্স কোর্সে তার মেজর পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায়ও সে চমত্কার স্কোর করে। চীন সরকারের বৃত্তি ও পেশাদার বৃত্তি লাভ করে। স্নাতক পর্যায় শেষ করে সে পরিবেশ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়। পড়ালেখা শেষ করে তিনি এখন একটি সুবিখ্যাত গাড়ি কোম্পানির প্রকৌশলী। এ সম্পর্কে ওয়াং ইয়ুন লিং বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় পরিশ্রম দরকার। কর্মস্থলে আরও পরিশ্রম করে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। চীনের সুবিখ্যাত হস্তকর্মশিল্পীদের মতো মনোযোগ দিয়ে কাজ করে নিজের কর্মদক্ষতা উন্নত করতে আগ্রহী তিনি। তিনি বসন্ত কুঁড়ি প্রকল্পের একজন কৃতজ্ঞ সুবিধাভোগ।