পারিবারিক শিক্ষা: কেন একশ্রেণীর বাবা-মা বাচ্চার সঙ্গে হতাশাজনক আচরণ করেন?
নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ছেন বলেন, যখন নতুন বাড়ি কেনেন, তখন তিনি তা নিজের মতো করে সাজিয়ে নেন। বাবা-মা মনে করেন, তার এ সাজানোর কাজ সুন্দর নয় এবং অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই নতুন সাজানোর কর্মী খুঁজতে চেষ্টা করেন। তখন ছেন স্পষ্টভাবে বাবা-মাকে বলেন, এটি আমার নিজের বাড়ি, আমি এখানে থাকবো, তাই আমার মনের মতো করেই এটি সাজানো থাকবে। আপনাদের পছন্দে সাজানো হলে আমার খারাপ লাগবে। বাবা-মা তার কথা শুনে আর কিছু বলেননি।
বাচ্চারা বড় হওয়ার পর তাদের জীবন নিজের পছন্দমতো কাটাতে পারে। চাকরি ও বেতন থাকলে বাচ্চারা নিজের প্রিয় কাজ করতে পারে। তারা শুধু বাবা-মায়ের মতো জীবন কাটাতে বাধ্য নয়। কারণ, প্রত্যেকের জীবন আলাদা। নিজেকে আনন্দে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এটা বাবা-মাকেও বুঝতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাচ্চা বড় হওয়ার পর বাবা-মার সাথে সহাবস্থান যেন দ্বৈত নৃত্যের মতো। নৃত্যের শুরুতে প্রথম ছন্দে একজন ভুল করলে ছন্দ হারিয়ে যাবে। এতে দু’জনই মাটিতে পড়ে যাবে। তাই সহাবস্থান থাকবে, তবে কেউ কারোর জীবনপদ্ধতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। এটাই সঠিক পদ্ধতি। যদি একসাথে থাকতেই হয়, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা কাম্যও বটে, তবে বাচ্চা ও পিতামাতাকে একই ছন্দে থাকতে হবে; এক অপরকে বুঝতে হবে। এভাবে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে একসঙ্গে সুখে জীবন কাটানো সম্ভব।