পারিবারিক শিক্ষা: কেন একশ্রেণীর বাবা-মা বাচ্চার সঙ্গে হতাশাজনক আচরণ করেন?
পিতামাতার সাথে বাচ্চাদের সম্পর্ক পারিবারিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একেক পরিবারে এ সম্পর্কের ধরন একেকরকম হতে পারে। অধিকাংশ বাবা-মা চান বাচ্চাদের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে। তবে, কেউ কেউ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাচ্চাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন না বা নিদেনপক্ষে সেটা খুবই মুশকিলের কাজ হয়। প্রশ্ন হচ্ছে: কেন বাবা-মা কখনও কখনও বাচ্চার সঙ্গে হতাশাজনক আচরণ করেন? এর পিছনে বাবা-মায়ের যুক্তি কী? এমন অবস্থার পরিবর্তন কি সম্ভব? আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
চলতি বছর মেয়ে চু চু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। তিনি বাবা-মার জন্য তাঁর স্নাতক অনুষ্ঠানের টিকিট কিনেছেন এবং তাদেরকে একসাথে এ আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে বাবা-মা বলেন, বেইজিংয়ে আসলে অফিস থেকে ছুটি নিতে হবে এবং হোটেলে থাকলে অনেক টাকা লাগবে, তাই তাঁদের যাওয়ার আগ্রহ খুবই কম। মেয়ে চু চু এতে হতাশ। তার দৃষ্টিতে নিজের ছাত্রীজীবনের শেষ মুহূর্তটি বাবা-মার সাথে কাটাতে না পারা বেশ পরিতাপের বিষয়।
সম্প্রতি চীনের ইন্টারনেটে ‘বাবা মা কেন আমাকে হতাশা করেন?’ শীর্ষক আলোচনা ব্যাপকভাবে চলছে। কেউ হয়তো নিজের মাসিক পকেটমানি সঞ্চয় করে মায়ের জন্য ফুল কিনেছেন, কিন্তু মা তা দেখে বললেন, এটা অর্থের অপচয় মাত্র! কেউ অনেক পরিশ্রম করে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে, কিন্তু বাবা-মা তাকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তুমি প্রথম স্থান পাওনি?!
সম্প্রতি ছেলে লুও লিন নিজের বার্ষিক ছুটিতে বাবা-মা ও নানীকে নিয়ে সানইয়া ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন। বয়স্ক বাবা-মা ও নানীর শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে তিনি দামী বিমান টিকিট আর ভালো হোটেল বুকিং করেন। যখন সব বুকিংয়ের কাজ শেষ, তখন মা খরচের কথা বিবেচনা করে ভ্রমণ বাতিল করেন। লুও লিন এবং তার বাবা বহু অনুনয়-বিনয় করার পর মা শেষ পর্যন্ত তাদের সাথে ভ্রমণে যেতে রাজি হন। তবে লুও’র দৃষ্টিতে প্রস্তুতির পর্যায়ে ভ্রমণের জন্য যে আনন্দ, তা মায়ের জন্য হারিয়ে গেছে। তিনি মায়ের সিদ্ধান্ত ও চিন্তাভাবনা বুঝতে পারেন না।