বাংলা

পারিবারিক শিক্ষা: কেন একশ্রেণীর বাবা-মা বাচ্চার সঙ্গে হতাশাজনক আচরণ করেন?

CMGPublished: 2023-10-30 15:30:45
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নারী লিউ থিং একজন মা, যার বাচ্চার মাত্র ৩ বছর বয়স। তিনি বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনেক হতাশার কথা শুনেছেন। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাকে উপহার দেওয়া বা বিদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করার সময় তারা নিয়মিতভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। ফলে তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে একসময় আর কোনো কথা বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করা বন্ধ করে দেন।

মা হওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি বাবা-মায়ের আচরণের কারণ বুঝতে পারেন। তিনি মনে করেন, বাবা-মার যুবকালে সামাজিক অবস্থা ভিন্ন ছিল। তখন বাবা একাই চাকরি করতেন। তাই মা সঞ্চয় করতেন। পরে লিউ থিং বেশি টাকা খরচ করতে অভ্যস্ত হননি। মা হওয়ার পর তিনি বাবা-মাকে আয়না হিসেবে দেখেন, তিনি আশা করেন, তার বাচ্চা বড় হওয়ার পথে তিনি বাবা-মায়ের চেয়ে আরো ভালো করতে পারেন। বাচ্চার সাথে আরো বেশি সহমর্মিতার আচরণ করতে চেষ্টা করবেন তিনি।

তবে, ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়ের কাছে নেতিবাচক মন্তব্য শোনার কারণে, এখন বাবা-মার সাথে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ নয়, সেটি আর পুরোপুরি পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। বাবা-মা তার জীবনপদ্ধতি গ্রহণ করেন কি করেন না, সেটা তার কাছে এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।

শিক্ষক লিউ ইয়ু সেন বলেন, লিউ থিং’র মতো আরো অনেকে ছোটবেলায় বাবা-মার সমালোচনা শুনে অভ্যস্ত। এমন পরিবারে বড় হওয়া বাচ্চারা তাদের চরিত্র, চলাফেলা, দাম্পত্য সম্পর্ক এবং বাবা-মা হওয়ার পর বাচ্চাদের সাথে সম্পর্কসহ বিভিন্ন খাতে কোনো না কোনো মাত্রার সমস্যার সম্মুখীন হয়।

তাহলে কিভাবে ছোটবেলার এমন দুঃখ ও নেতিবাচক অনুভূতি কাটিয়ে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর মানসিক অবস্থা গড়ে তোলা যায়?

এ সম্পর্কে সহকারী অধ্যাপক ছেন বলেন, আমাদের ছোটবেলায় কেবল পিতামাতাকে নির্ভর করে বড় হতে পারি। তখন বাবা-মা হতাশাজনক কথা বা আচরণ করলেও আমাদের কোনো উপায় থাকে না। তবে যখন আমরা বড় হই, তখন বাবা-মা আর আমাদের ওপর কোনোকিছু চাপিয়ে দিতে পারেন না। তখন আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারি। অতীতের কথা তখন ধীরে ধীরে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করাই উত্তম।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn