পারিবারিক শিক্ষা: কেন একশ্রেণীর বাবা-মা বাচ্চার সঙ্গে হতাশাজনক আচরণ করেন?
১৭ বছর ধরে চীনের পারিবারিক শিক্ষার গবেষক কুয়াংতুং বাইইয়ুন একাডেমির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আর বেইজিং নর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী ছেন সিয়াও। তাঁরও একই অভিজ্ঞতা রয়েছে। একবার তাঁর পরিবারের ওয়াশিং ম্যাশিন ও ওয়াটার হিটার নষ্ট হয়েছে। বেশি টাকা দিয়ে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ডের যন্ত্র কিনতে চেয়েছিলেন চেন। তবে তাঁর বাবা-মা টাকা নষ্ট হবে বলে তা কিনতে চান না। তবে, পরে দামী যন্ত্র ব্যবহার করার পর ছেনের সিদ্ধান্তের প্রশংসাও করেন তাঁরা।
কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেন, বাচ্চার সাথে ভ্রমণ করা, উত্সবে উপহার পাওয়া এবং জীবনযাপনের সুখী মুহূর্ত বিনিময় করা সবই আনন্দদায়ক ব্যাপার, কিন্তু কেন বাবা-মা সবসময় হতাশার কথা বলেন? সহকারী অধ্যাপক ছেনের দৃষ্টিতে সেই অবস্থার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। যেমন, তাঁর পিতামাতার যুবকালে জীবনযাপনের মান খারাপ ছিল; অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারতেন না তাঁরা। তাই বর্তমানে জীবনমান উন্নত হওয়ার পর তাদের বাচ্চার কেনাকাটার অভ্যাস এবং তাদের চিন্তাভাবনা ও অভ্যাসের মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। তা ছাড়া, বয়স্ক বাবা-মার ছোটবেলায় তাদের বাবা-মা তথা ছেনের দাদা-দাদী ‘হতাশার মধ্যেই’ বাচ্চাকে লালনপালন করেছেন। ফলে তারা বাচ্চার সাথে সবসময় সহমর্মিতার আচরণ করতে পারেননি। তারা বাচ্চাদের প্রিয় বিষয় ও মনের অবস্থা সবসময় বুঝতে পারতেন না। কখনও কখনও তাঁরা বাচ্চার চিন্তাভাবনাকে গুরুত্বও দিতেন না।
তবে, একইসঙ্গে, সহকারী অধ্যাপক ছেন পরামর্শ দিয়ে বলেন যে, বাচ্চাকেও পিতামাতার চিন্তাভাবনা বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। বাবা-মায়ের চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।
যুবক-যুবতীদের জীবনযাপনের পদ্ধতি বাবা-মায়ের মতো নয়, অনেক পার্থক্য রয়েছে। যুবক-যুবতীরা প্রায়শই নিজেদের মনের কথা ও চাওয়ার কথা বাবা-মাকে বলে দেন। এতে সমস্যা নেই। তবে, নতুন কিছু গ্রহণে পিতামাতার যে সময় বেশি লাগবে, সেটাও সন্তানকে বুঝতে হবে।