বাংলা

দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা দিচ্ছে চীনা সরকার

CMGPublished: 2023-10-23 14:00:05
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই তার কষ্ট শুনে বিস্তারিতভাবে মানসিক সমস্যার মূল কারণ ও উত্স খোঁজার চেষ্টা করেন। তিনি জানতে চান, হুয়াং কি কোনো নির্দিষ্ট মেজরের বিষয় মনোযোগ দিয়ে শিখতে পারেনি, নাকি প্রত্যেকটি বিষয়েই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। মাধ্যমিক স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষার প্রায় এক মাস সময় বাকি আছে। এ মাসের মধ্যে আর কী কী দুর্বলতা মোকাবিলা করে সে পরীক্ষায় ভালো করতে পারে? সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়ে তিনি ছাত্র হুয়াংকে বলেন। হুয়াং নিজের সমস্যা সঠিকভাবে বুঝতে পারে। তার পরীক্ষার ফলাফল ভালো করতে স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই বিস্তারিত পড়াশোনার পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেন হুয়াংয়ের জন্য।

ছাত্র হুয়াংয়ের মানসিক চাপ দূর করতে তিনি সঠিক বিশ্লেষণ করেন। ধীরে ধীরে ছাত্র হুয়াংয়ের মন শান্ত হয়ে যায়, সে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়ার চেষ্টা করছে।

বস্তুত তার মতো আরো অনেক ছাত্রছাত্রী আছে, যারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সম্মুখীন হলেই অন্য সময়ের চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয় ও তাদের মন খারাপ হয়। এ অবস্থা মোকাবিলায় মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ দেন স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই। এভাবে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অনুভূতি ও মানসিক অবস্থা সঠিক বিবেচনা ও পর্যালোচনা করতে সক্ষম হয়, নিজেদের মেজাজ ও মানসিক পরিবর্তনও বুঝতে পারে। স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই’র দৃষ্টিতে মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে সক্ষম। এর ওপরে আছে ১২৩৫৫ হটলাইন। তাঁরা এ নম্বরে ফোন করে পরামর্শ চাইতে পারে।

স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই মনে করেন, পিতামাতার উচিত নয় পরীক্ষার আগে বাচ্চার ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা। যদি বাচ্চারা মনের কথা শেয়ার করতে চায়, তাহলে বাবা-মার উচিত মনোযোগ দিয়ে তা শোনা। কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত নয়। নিয়মিতভাবে বাচ্চার কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া ভালো। জানতে চাইতে হবে যে, বাচ্চার কোনো সাহায্য লাগবে কি না বা পিতামাতা বাচ্চাকে পড়াশোনায় কোনো সহায়তা দিতে পারে কিনা। আরেকটি বিষয়, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চবিদ্যায়ের শেষ বর্ষে বাচ্চাকে অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn