দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা দিচ্ছে চীনা সরকার
জুলাই মাসে মেং ছাও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধনপত্র পেয়েছে। তার নতুন জীবন শুরু হয় এর মাধ্যমে। মেং ছাওয়ের জন্য সেটি বেশ আনন্দদায়ক ব্যাপার। যদি ভালো করে লেখাপড়া করে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রঋণ ও বৃত্তিও পেতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর চাকরি খুঁজে পেয়ে সে তার মাকে সাহায্য করতে চায়।
বস্তুত চীনের ছাত্র ঋণব্যবস্থা ১৯৯৯ সাল থেকে চালু হয়। এ পর্যন্ত মোট ৪০০০০ কোটি ইউয়ান ঋণ দেওয়া হয়েছে এবং ২ কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী এতে উপকৃত হয়েছে। এ সম্পর্কে চীনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণাগারের গবেষক ছু চাও হুই বলেন, চীন সরকার দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তাব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এখন আর আর্থিক সংকটের কারণে কেউ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকছে না। ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থা আরও উন্নত ও সম্পূর্ণ হবে।
মেয়ে সু ছিং প্রাথমিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। প্রাথমিক স্কুলের শেষ পর্যায় এটি। শিক্ষক আন নিয়মিত তার পরিবারে গিয়ে খোঁজ-খবর নেন। সু ছিং ও তার দুই ছোট বোনকে যথাযথ সহায়তা দেন। মেয়ে সু ছিং শিক্ষক আনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, নতুন সেমিস্টারে সে আরো ভালো করে লেখাপড়া করবে। সে দুই ছোট বোনের জন্য উত্কৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়।
পরীক্ষার উদ্বেগ দূর করার উপায়
আধুনিক সমাজের উন্নয়নের সাথে সাথে, লোকজন মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন হয়েছেন ও হচ্ছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে লেখাপড়ার চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে চীনের কুয়াংসি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১২৩৫৫ হটলাইন চালু করেছে, যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা মানসিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য পেতে পারে।
এ হটলাইন চালুর পর অনেক ছাত্রছাত্রীর ফোন পেয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে পরীক্ষার জন্য বেশ উদ্বিগ্ন, আর এ কারণে তাদের মানসিক অবস্থাও ভালো না। হ্যছি জেলার একজন মাধ্যমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই চিন নির সাথে তার মনের কষ্ট শেয়ার করেছে। ছাত্র হুয়াং মাধ্যমিক স্কুলের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য উদ্বিগ্ন। পরীক্ষার আগে সে ভালো করে লেখাপড়া করতে পারেনি এবং এ কারণে মানসিক চাপে আছে। স্বেচ্ছাসেবক ওয়েই’র কাছ থেকে মনের চাপ কমানো এবং লেখাপড়ায় আরও ভালো করার টিপস জানতে আগ্রহী ছাত্র হুয়াং।