দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা দিচ্ছে চীনা সরকার
চীনের কানসু প্রদেশের পিংলিয়াং শহরের সিয়ামেন হুই জাতি অধ্যুষিত জেলার শানখৌ গ্রামে ১১ বছর বয়সের মেয়ে সু ছিং এবং তার দুই ছোট বোন স্থানীয় সিয়ামেন প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী। তাদের মায়ের শরীর ভালো না। তাদের বাবা একটি অস্থায়ী চাকরি করেন এবং টেনেটুনে সংসার চালান। একসময় এই পরিবারটি সরকারের সাহায্য দারিদ্র্যমুক্ত হয়। তবে, আর্থিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বলই রয়ে গেছে। এবার নতুন সেমিস্টারে তাঁরা গ্রামের কর্মদলের কাছ থেকে নতুন উপহার পেয়েছে, যা তাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার।
২০২১ সালে লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আন কুও সিং শানখৌ গ্রামে এসে এখানকার দারিদ্র্যমুক্ত কর্মদলের কর্মী হন। একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাদের শিক্ষার ওপর বেশ মনোযোগ দেন। সু ছিং এবং তার দুই ছোট বোনের অবস্থা জেনে তিনি বিভিন্ন সামাজিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেন এবং নিয়মিতভাবে তাদের জন্য ব্যাগ, স্টেশনারি ও বইসহ প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে থাকেন। পাশাপাশি, তাদের জন্য প্রায় ৫০০০ ইউয়ানের বৃত্তিও সংগ্রহ করেন।
শিক্ষক আনের দৃষ্টিতে শিক্ষাদান হবে পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্তির কার্যকর পদ্ধতি। তাই দারিদ্র্যমুক্ত পরিবারের বাচ্চাদের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। কেবল এমন পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করাই যথেষ্ট নয়, বরং গ্রামের সংশ্লিষ্ট পরিবারের বাচ্চাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও পেশ করেন তিনি।
শিক্ষা একটি দেশের উন্নয়নের ভিত্তিস্তম্ভ। এর সাথে দেশের ভবিষ্যতের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। চলতি বছরের জুন মাসে চীন সরকার ‘শ্রেষ্ঠ ও ভারসাম্যপূর্ণ মৌলিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার পরিষেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব’ পেশ করে। তখন থেকে চীনের জনসাধারণ মৌলিক পরিষেবাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে।