দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা দিচ্ছে চীনা সরকার
এসব ব্যবস্থায় দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা, পিতামাতার কাছ থেকে দূরে থাকা বাচ্চারা, এবং প্রতিবন্ধী বাচ্চাসহ বিশেষ গ্রুপের জন্য বিশেষ যত্ন ও দেখাশোনার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
চীনের বিভিন্ন মহল দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়। ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চীনে বিভিন্ন দরিদ্র শিক্ষার্থীর জন্য আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ছিল ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি। এর মধ্যে যেমন সরকারি অর্থ আছে, তেমনি আছে সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অবদান।
চলতি বছর শানখৌ গ্রামের ৬৮ জন দরিদ্র ছাত্রছাত্রী লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের কাছ থেকে বৃত্তি পেয়েছে। তা ছাড়া, কুইচৌ প্রদেশের পিচিয়ে শহরে ১৮ বছর বয়সের ছেলে মেং ছাও ছাত্র ঋণ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরেছে। ছেলে মেং ছাও স্থানীয় নাইয়ং জেলার পাঁচ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলের একজন ছাত্র। তার বাবা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। তার পরিবারে আরও ৪ ভাই ও এক বোন রয়েছে। মাকে একাই টাকা উপার্জন করে পরিবারের আর্থিক বোঝা বহন করতে হয়, যা খুবই কষ্টের।
মেং ছাও বলেন, “গত কয়েক বছরে আমার ভাই-বোনদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। প্রতিবছরের লেখাপড়ার খরচ ১০ হাজার ইউয়ানেরও বেশি। তা ছাড়া, আমার বাবার পেছনে চিকিত্সাবাবদ অনেক খরচ হয়। যদি সরকারের ভর্তুকি না থাকতো, তাহলে আমার ভাই-বোনদের লেখাপড়া হতো না।”
নাইয়ং জেলা কুইচৌ উমেং পাহাড়াঞ্চলে অবস্থিত। এটি স্থানীয় চরম দরিদ্র এলাকার অন্যতম। ২০২১ সালে চীন চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে, স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের বাচ্চারা আগের মতো শিক্ষার অর্থায়ন সুবিধা পেয়ে বঞ্চিতই থেকে যায়। নাইয়ং জেলার শিক্ষা ব্যুরোর শিক্ষার্থী অর্থায়ন পরিষেবাকেন্দ্রের কর্মকর্তা ইয়ু ইয়ুন বলেন, উচ্চবিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি কুইচৌ প্রদেশের বিশেষ অর্থায়ন পেতে পারে। মেং ছাওয়ের মতো আরও অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী এমন সুবিধা পেয়েছে। তারা প্রতি সেমিস্টারে ১০০০ ইউয়ানেরও বেশি ভর্তুকি পায়।