মোবাইলে আসক্ত ছেলের নতুন জীবন
বড় ভাই সিয়াওলং একটি উইচ্যাট গ্রুপ গড়ে তুলেছে। তাতে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে পরামর্শ ও সাহায্য দেওয়া হয়। তার ইচ্ছা যত বেশি সম্ভব ইন্টারনেটে আসক্ত বাচ্চাকে সাহায্য করা। এ গ্রুপের অনেক পিতামাতা ও শিক্ষক মনে করেন, তাদের বাচ্চাদের সমস্যা তাদের নিজেদের দোষ। তবে, আসলে বাবা-মা বাচ্চার মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় নিয়ন্ত্রণ না করা হল মূল কারণ। তাই ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোনে আসক্তির সমস্যা মোকাবিলা করতে চাইলে শুরুর দিকে এমন আচরণ এড়ানো উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিশোরকিশোরীরা মোবাইল ফোন খেলার মাধ্যমে বাস্তব জীবনের চাপ ও দুঃখ থেকে পালাতে চেষ্টা করে। তাই পরিবার ও স্কুল উভয়েরই বাচ্চাদের ওপর যথাযথ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তাদের চিন্তাভাবনা ও মেজাজের সঠিক যত্ন নিতে হবে।
নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে সিয়াওতুং বলে, “যখন কুয়াংতুং পোশাক কারখানায় চাকরি করতাম, প্রতিদিন এতো পরিশ্রম ও কষ্ট করে মাসিক বেতন পেতাম খুবই সামান্য। তখন থেকে আমি বুঝতে পেরেছি, কেবল লেখাপড়া জীবনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। তাই ভালো করে লেখাপড়া করা সঠিক পথ। যদি আমি শুধু মাধ্যমিক স্কুলের স্নাতকপত্র নিয়ে চাকরি খুঁজি, তাহলে শুধু পরিশ্রমের কাজ করতে হয়। আর কোনো বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়।”
বর্তমানে ছোট ভাই সিয়াওতুংয়ের বয়স ১৯ বছর। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সে শেনচেন শহরে অস্থায়ী চাকরি নিয়েছে এবং বড় ভাইয়ের সাথে থাকে। তার দৃষ্টিতে, যদিও জীবনে অনেক কষ্ট রয়েছে, তবে তারা নিজের সুখী জীবন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে। ২৯ বছর বয়সের সিয়াওলং জীবনের নতুন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন বাবা-মা আশা করেন, সে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করবে। এটি তার জন্য অনিশ্চিত ব্যাপার। তবে ছোট ভাইয়ের নতুন জীবন তার জন্য সবচেয়ে উত্সাহব্যঞ্জক ব্যাপার। তারা অবশেষে সাধারণ পরিবারের মতো সাধারণ ও সুখী জীবন কাটাতে সক্ষম। দু’জন ভাই পরস্পরকে আস্থা ও সমর্থন দেয়।