মোবাইলে আসক্ত ছেলের নতুন জীবন
২০১৬ সালের শীতকালে বড় ভাই সিয়াও লং বাবার ফোন পান। তখন বাবা বলেন, ছোট ভাই সিয়াওতুং মোবাইল ফোন গেমসে আসক্ত হয়েছে ও স্কুলের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। তখন সিয়াওতুংয়ের বয়স মাত্র ১৩ বছর। মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম বর্ষে মাত্র ভর্তি হয়েছে। মোবাইল ফোন খেলার জন্য প্রথম সেমিস্টারে তার পরীক্ষার ফলাফল অনেক খারাপ হয়। তখন সিয়াওতুংয়ের শিক্ষক তার বাবার সাথে আলোচনা করেন। তবে সিয়াওতুংয়ের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে সিয়াওতুংকে স্কুল ছাড়তে হয়। সেই থেকে সে প্রতিদিন শুধু গেমস খেলে জীবন কাটানো শুরু করে।
বাবা-মায়ের ফোন পেয়ে বড় ছেলে সিয়াওলং অনেক কষ্ট পায়। তবে, সে নানছাং থেকে ফিরে আসে এবং ইন্টারনেট থেকে ছোট ভাইকে সাহায্য করার কৌশল খুঁজে বের করে। বাড়ি ফিরে পরিবারের খারাপ অবস্থা সহজেই বুঝতে পারে সিয়াওলং। রুমে চেয়ার ও বিছানাসহ বিভিন্ন স্থান অগোছালো। ছোট ভাই সিয়াওতুংকে দেখা গেলো শীতের মধ্যেও হালকা কাপড় পরে শুয়ে শুয়ে টেলিভিশন দেখছে।
সিয়াওলং তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। তবে লেখাপড়া সম্পর্কে ছোট ভাই কিছুই বলে না। বাবা-মা আবার সিয়াওতুংকে মারতে যায়। তবে এবার সিয়াওলং ছোট ভাইকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে। সিয়াওতুংয়ের মোবাইল ফোন এ ঝগড়ার সময় ভেঙ্গে যায়। তখন সে এ ভেবে অবাক হয়, ছোটবেলায় বাবা-মা তাকে ফোন দিতে আপত্তি করেনি, এখন কেন করছেন?!
বড় ভাই সিয়াওলং তাঁর ছোট ভাইকে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করতে থাকে ।একদিন রাতে সিয়াওতুং বলল, মাধ্যমিক স্কুলে গণিত ক্লাস বেশ কঠিন, সে কিছু বুঝতে পারে না। ক্লাসে শিক্ষক সবসময় তার সমালোচনা করেন, তখন সে স্কুলের লেখাপড়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
পরে সিয়াওলং তার ছোট ভাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন দেখে ছোট ভাই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরিবারে ফিরে যাওয়ার পর আবার আগের অবস্থানে ফিরে যায়। তাদের বাবা-মাও অনেক হতাশ। তখন থেকে ছোট ভাই সিয়াওতুংয়ের জীবনে শুধু মোবাইল ফোন গেমস রয়ে যায়।