মোবাইলে আসক্ত ছেলের নতুন জীবন
কয়েক মাস পর বসন্ত উত্সবের ছুটি আসে। বড় ভাই সিয়াওলং আবার বাড়ি ফেরে। একটি শান্তির ছুটি কাটাতে সিয়াওতুংয়ের মোবাইল ফোন সংগ্রহ করেন বড় ভাই। তার সাহায্যে সিয়াওতুং অন্যদের মতো খাওয়া, থাকা ও ঘুমানো শুরু করে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবার স্কুলে ফিরে যায় সিয়াওতুং। তার পড়াশোনা আবার শুরু করার জন্য স্কুলে একটি প্রতিশ্রুতিপত্র সই করে বড় ভাই সিয়াওলং। তবে স্কুলে ফিরে গেলেও সিয়াওতুং ক্লাসে তেমন একটা মনোযোগ দিত না। ১০ দিন পর ১৩ বছর বয়সের ছেলে সিয়াওতুং চাকরি নেওয়ার জন্য একাই ট্রেনে বসে চিয়াংসু প্রদেশে যায়। তবে তাঁর বয়সের কারণে সহজে চাকরি খুঁজতে পায় না। বাবা-মায়ের সাহায্যে সে কুয়াংতুং প্রদেশের একটি পোশাক কারখানায় অস্থায়ী চাকরি খুঁজে পায়। মাসিক বেতন মাত্র ৮০০ ইউয়ান। একদিনে ১০ ঘন্টার মতো কাজ করতে হয়। এমন জীবনে সে ভয় পায়।
একই বছরের জুন মাসে বড় ভাই সিয়াংলং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয় এবং শেনচেন শহরে চাকরি পায়। যখন আবার বাড়ি ফিরে আসে, ছোট ভাইয়ের অবস্থা দেখে সিয়াওলংয়ের অনেক রাগ হয়। সেই প্রথমবারের মতো ছোট ভাইকে সে মারধোর করে। দু’জনের ঝগড়া শেষে সিয়াওতুং বুঝতে পারে, বড় ভাই তাকে ধরে রাখতে চায়, তাকে সাহায্য করতে চায়। তখন থেকে সে মোবাইল ফোন গেমস আর না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিয়াওতুং আবার মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়। তার মোবাইল ফোন আসক্তি মোকাবিলায় একটি বোর্ডিং স্কুলের শিক্ষক পরিবারে বসবাস করতে শুরু করে সিয়াওতুং। নতুন পরিবেশে সিয়াওতুংয়ের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে। গণিতে সে মজা পেতে শুরু করে। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। লেখাপড়ায় সে নতুন অনুভূতি ও অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়।
অন্যদিকে, শেনচেন শহরে কর্মরত বড় ছেলে সিয়াওলং সবসময় ছোট ভাইয়ের খোঁজখবর নিত। বাবা-মা নিয়মিত ছোট ভাইয়ের অবস্থা তাকে জানাতেন। উইচ্যাটে বাবা-মাকে ছোট ভাইয়ের সাথে কথাবার্তার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয় বড় ভাই।