বাংলা

চীনের সেরা শিক্ষক ধান বিশেষজ্ঞ চাং হং ছেং এবং সিপিইউ মাতা হুয়াং লিং ই

CMGPublished: 2023-10-02 15:00:46
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কাঁচামাল, উপযোগী সরঞ্জাম ও দক্ষ ব্যক্তির অভাব ছিল তখন। এর মধ্যেই চীনের নিজস্ব প্রযুক্তি ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড আর ট্রানজিস্টর আবিষ্কার করেন তাঁরা। সেটি আধুনিক চীনের জন্য বড় অগ্রগতি ছিল। ১৯৬৬ সালে চীনের নিজের তৈরি স্পেস কম্পিউটার বিশ্বের সামনে হাজির হয়। তখন থেকে চিপ ব্যাপকভাবে বিভিন্ন শিল্পে প্রয়োগ করা শুরু হয়। তখন চীনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটে চিপও ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক হুয়াংয়ের চিপ আর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের গবেষণা বিশ্ব মানের কাছাকাছি পৌঁছায়। তবে বিজ্ঞান গবেষণার বাজেটের অভাবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাতিল করা হয়। সেটি ছিল হুয়াং’র জন্য সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার।

গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে তিনি বিদেশে যান। তিনি সেখানে খেয়াল করেন যে, বিশ্বের উন্নত পেটেন্ট মেলায় চীনের স্টল খুবই ছোট ও দুর্বল। দেখে তিনি দুঃখ পান। ২০০১ সালে ৬৬ বছর বয়সের হুয়াং অবসর জীবন থেকে আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে ফিরে আসেন। তিনি চীনের চিপ তৈরির কাজে আবার অংশ নেন। যদিও বিজ্ঞান গবেষণার বাজেট খুবই কম, তবে তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পে যোগ দেন।

টানা ১৫ বছর ধরে চলে বিভিন্ন ধরনের চিপস নিয়ে গবেষণাকাজ। ‘লুংসিন ৩’ চিপস আবিষ্কারের পর চীনের ফুশিং দ্রুতগতির ট্রেনে পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতে শুরু করে। লুংসিন চিপস চীনে কম্পিউটারের মূল যন্ত্রাংশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।

যদিও চিপস গবেষণার প্রক্রিয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার, তবে চীনের নিজস্ব চিপসের প্রয়োগ পাশ্চাত্যের প্রযুক্তির বাধা ভেঙ্গে দিতে সক্ষম। চীনারা মাথা উঁচু করে বিশ্বের মঞ্চে দাঁড়াতে পারে। সেটি প্রত্যেক চীনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ও গর্বের ব্যাপার।

首页上一页...2345 5

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn