চীনের সেরা শিক্ষক ধান বিশেষজ্ঞ চাং হং ছেং এবং সিপিইউ মাতা হুয়াং লিং ই
অধ্যাপক চাং ছাত্রছাত্রীদের বলেন, যারা কৃষিরকাজের সাথে জড়িত, তাদেরকে কষ্ট সহ্য করতে হয়। কারণ, তাদেরকে সবসময় মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গত ৪০ বছরের মধ্যে তিনি ১৪০ জনেরও বেশি কৃষি বিষয়ক মাস্টার্স ও ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
যদিও অধ্যাপক চাংয়ের বয়স ৭২ বছর, তবে এখনও তিনি নিয়মিত কৃষিক্ষেতে দৌড়াদৌড়ি করেন। তাঁর স্বপ্ন কৃষিকাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং কৃষিকাজে মানুষের হাতের ব্যবহার কমানো। ভবিষ্যতে চীনের চাষ শিল্প বিশ্বের শীর্ষ স্থানে দাঁড়াবে বলে আশা করেন তিনি।
চীনের সিপিইউ’র মাতা অধ্যাপক হুয়াং লিং ই
আজকের অনুষ্ঠানে আরেকজন সেরা শিক্ষকের গল্প তুলে ধরবো। তবে, দুঃখের ব্যাপার হল, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর নাম হুয়াং লিং ই। তিনি চীনের সিপিইউ’র মাতা হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স শিল্প।
১৯৩৬ সালে হুয়াং লিং ই চীনের কুয়াংসি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাননিং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ছোটবেলায় জাপানি আগ্রাসন হয়। বড় হওয়ার পর তিনি হুয়াচং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিকন্ডাক্টর বিভাগ চালু করা হয়। তখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞরা ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চালু করেছিলেন। হুয়াং লিং ই ছিলেন ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিকন্ডাক্টর বিভাগের সেরা ছাত্রী। তখন থেকে মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাঁর।
ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় যোগ দেন। ১৯৬০ সালে স্নাতক হয়ে হুয়াচং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিকন্ডাক্টর বিভাগও চালু করেন তিনি। তখন তিনি একদল যুব শিক্ষককে সাথে নিয়ে চীনের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর পরীক্ষাগার স্থাপন করেন।