চীনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের গল্প
গত ৩০ বছর ধরে তিনি দক্ষ পাচক তৈরির নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রমেও তিনি অংশ নিয়েছেন। একবার তিনি কারাদন্ডপ্রাপ্ত ৩ শতাধিক বন্দীকে প্রশিক্ষণ দেন। প্রতিবছর বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কারিগরি প্রশিক্ষণও দেন তিনি।
বহু বছর ধরে শিক্ষক ওয়াং’র সহায়তায় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী দক্ষ পাচকে পরিণত হয়েছেন। তাঁরা চীনের সুস্বাদু খাবার বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে বিদেশে চীনা পাচক হিসেবে চাকরি করেন এবং কেউ কেউ জাতিসংঘের সদরদপ্তরে রান্নার কাজ করেন। কারিগরি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষক ওয়াং সবসময় ছাত্রছাত্রীদের বলেন, “আজ আমি তোমাদের মাস্টার। একদিন তোমরা স্নাতক হয়ে বড় মাস্টার হবে।”
শিক্ষার্থী লিউ হুই শিক্ষক ওয়াং’র প্রিয় ছাত্র। তিনি এখন থিয়ানচিন কারিগরি কলেজের সিনিয়র শিক্ষক এবং চীনের শ্রেষ্ঠ সিনিয়র প্যাস্ট্রি কারিগর। তিনি ভালো করে ময়দা দিয়ে বহু ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না করতে পারেন। চীনের পাচক পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি দু’বার গিনেস বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেন এবং ৪০টিরও বেশি টেলিভিশন চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠান করেছেন। পাচক ওয়াং হাও শিক্ষক ওয়াং’র আরেকজন প্রিয় ছাত্র। তিনি থাইইউয়ান কারিগরি একাডেমির প্যাস্ট্রি বিভাগের সিনিয়র মাস্টার এবং শানসি প্রদেশের পয়লা মে শ্রম পুরস্কার লাভকারী।
এ সম্পর্কে শিক্ষক ওয়াং লি ছুন বলেন, “আমার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকে স্নাতক হওয়ার পর সুবিখ্যাত হয়েছে। তাদের প্রচেষ্টায় শানসি স্বাদের খাবারও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।”
নিজের পড়াশোনার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে শিক্ষক ওয়াং বলেন, “আমি যখন রান্নাকে মেজর হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম, তখন অনেক কষ্টে রান্না শিখতে হতো। প্রতিদিন ২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুল ও বাসা থেকে যাওয়া-আসা করতে হতো; প্রতিদিন শাকসবজি ধোয়ার মাধ্যমে শুরু হতো শেখার কাজ।” তবে, কষ্ট করেই তিনি সিনিয়র পাচকদের কাছ থেকে অনেক দক্ষতা আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন।